বছরে তিনটি করে বাঘ হত্যা সুন্দরবনে

বাংলাদেশে সুন্দরবন অংশে প্রতি বছর তিনটিরও বেশি বাঘ চোরাশিকারিদের হাতে নিহত হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যপ্রাণী চোরাচালানের ওপর নজরদারিকারী সংস্থা “ট্রাফিক”।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত চার বছর ধরে সুন্দরবনে বাংলাদেশ অংশে বাঘ হত্যার এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে তারা বলেছে, বাংলাদেশে খুব অল্প সংখ্যায় বাঘ অবশিষ্ট থাকলেও চামড়া, দাঁত, হাড়, মাথার খুলি ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য বাঘ হত্যার প্রবণতা বাড়তির দিকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২০ বছরে বাংলাদেশে ৫১টি বাঘ হত্যা করা হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যের সময়টাতে প্রতিবছর গড়ে ৩.১টি বাঘ চোরা শিকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। অথচ ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বছরে গড়ে ২টি বাঘ শিকারের ঘটনা ছিল।

তবে বাঘ শিকারের সংখ্যা বাড়ার কথা মানতে নারাজ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলছে, শিকারের সংখ্যা ও বাঘের দেহাবশেষ পাওয়া যাওয়ার প্রবণতা বরং কমতির দিকে।

বন কর্মকর্তা মিহির কুমার গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে বাঘের চামড়া ও হাড় উদ্ধার হওয়ার ঘটনা কমে আসছে। বাঘ হত্যা বন্ধ করার জন্য নজরদারি যেমন বাড়ানো হয়েছে তেমনি সংরক্ষণেরও নানা উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।

২০০০ থেকে ২০১৮ সালের বিশ্বজুড়ে বাঘ সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে ৩২টি দেশ ও অঞ্চলে কম করে হলেও ২৩৫৯টি বাঘ হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪২ টি ক্ষেত্রে বাঘের দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, যার বেশিরভাগ ঘটনাই আবার এশিয়া অঞ্চলে।

বিশ্বজুড়ে বাঘ হত্যার ঘটনাগুলোর মধ্যে ৯৫.১ শতাংশ (১০৮৬টি ঘটনা) ঘটেছে এশিয়ার ১৩টি দেশে যাতে প্রাণ হারিয়েছে ২,২৪১টি বাঘ। প্রতিবছর গড়ে ১২৪টি বাঘের দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।

 

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

Comments

The Daily Star  | English

'No legal bar' to Babar's release after acquittal in another 10-truck arms case

He has now been cleared in both cases filed over the high-profile incident from 2004

1h ago