মমতার দলের নেতারা প্রকাশ্যেই নিজের ভুল স্বীকার করবেন
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবার তার দলের নির্বাচিত বিধায়ক, নেতা এবং কর্মীদের ভুল স্বীকার করে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর নির্দেশ দিলেন।
এর আগে মমতা তার দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জনগণের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে নেওয়া ঘুষের বা স্থানীয় ভাষায় ‘কাটমানি’-এর টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আশানুরূপ ফল না হওয়ায় দলের শুদ্ধিকরণে এটি মমতার দ্বিতীয় আলোচিত উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
গতকাল (১১ জুলাই) দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলপ্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
ওই বৈঠকের ছিলেন তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করতে সদ্য নিযুক্ত ভারতের ‘ভোট গুরু’ নামে পরিচিতি স্ট্যাটেজিক সহযোগী প্রশান্ত কিশোরও।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মমতা ব্যানার্জি দলের নির্বাচিত বিধায়কদের যে কয়েকটি কৌশল নির্ধারণ করতে বলেছেন এর মধ্য অন্যতম হচ্ছে ‘ভুল স্বীকার’।
মমতা বলেছেন, যারা গত ৭ বছর ধরে বিধায়ক রয়েছেন তাদের নানারকম ভুল ক্রুটি হওয়াটা স্বাভাবিক। সেই ভুলগুলো আগে খুঁজে বের করুন এবং সেই ভুলের কথা নিজেই প্রকাশ্যে জনসভায় মেনে নিন।
দ্বিতীয় কৌশল ‘চায়ের দোকানে আড্ডা’। চায়ের দোকানে সব শ্রেণির মানুষ বসে থাকেন। সেখানে বহু রকমের কথাবার্তা হয়। দেশ-বিদেশের রাজনীতি-অর্থনীতিসহ পাড়ার খুঁটিনাটি সমস্যার তথ্য জানা যায় ওই চায়ের দোকানে। সেখানে বিধায়ক, নির্বাচিত প্রতিনিধি কিংবা নেতাদের বসার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেকোনো পরিবারের ‘বিপদে পাশে দাঁড়ান’। কারো মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাকে দাহ করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পারলে নিজের গাড়ি দিয়ে দিন। সময় হলে শশ্মানে যান কিংবা কবরস্থানে সঙ্গী হোন বাড়ির মানুষের।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রায় শতাধিক পৌরসভায় নির্বাচন। পরের বছরই বিধানসভা নির্বাচন। পৌরসভা নির্বাচনের তৃণমূল তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে না পারলে বিধানসভা নির্বাচনের ধাক্কা খাবে। তাই আগামী পৌরসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেই জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
Comments