‘জাতির সঙ্গে ওয়াসার এমডির এমন রসিকতা না করাই ভালো’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

“ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়”-ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের এই বক্তব্যের ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “এটি একটি চরম মিথ্যাচার। জাতির সঙ্গে তার এমন রসিকতা না করাই উচিত।”

ওয়াসার পানি নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে এমডি তাকসিম এ খান গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে তাদের পানি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ বলে দাবি করেন।

বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার হিসেবে খ্যাত র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত সৈয়দা রিজওয়ানা ওয়াসার এমডির বক্তব্যকে “দায়িত্বজ্ঞানহীনতার চরমে” অভিহিত করে বলেন, “ওনার মতো অবস্থানে থেকে মানুষ যদি এরকম মিথ্যা কথা বলে তাহলে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সেটি থাকার কোনো কারণ নেই।”

“উনার কথার পক্ষে কোনো যুক্তি দেওয়া উচিত নয়” বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দা রিজওয়ানা।

তিনি বলেন, “উনি (এমডি) বলতে চান যে পানি সরবরাহ করা হয় সেই পানি ভালো। পাইপে গিয়ে ময়লা হয়। পাইপের দায়িত্বও তো উনাদের। ওয়াসার দায়িত্ব কেবল পানি পরিশোধন করা না। এর দায়িত্ব হচ্ছে সুপেয় পানি মানুষের বাসায় পৌঁছে দেওয়া। উনি সেই দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ। উনি অনেকদিন যাবৎ এমডি রয়েছেন। কিন্তু, ওয়াসার কোনো লক্ষণীয় উন্নয়ন-উন্নতি আমরা দেখিনি। পানির প্রাপ্যতা বা পানির মান- কোনো দিকেই তা দেখা যায়নি।”

গ্রাহক জরিপ করে গত ১৭ এপ্রিল টিআইবি তার প্রতিবেদনে জানায়, সেবাগ্রহীতাদের ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ সরবরাহকৃত পানি অপরিষ্কার এবং ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ সরবরাহকৃত পানি দুর্গন্ধযুক্ত বলে তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। গ্রাহকদের এক তৃতীয়াংশ ওয়াসার সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট। এ থেকে উত্তরণে ১৩ দফা সুপারিশ দেয় তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago