পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি মুখোমুখি

ছবি: সংগৃহীত

একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

পঞ্চায়েত ভোটে ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা, বিজেপি সমর্থক-নেতাদের খুন, হামলা ও মামলায় জড়ানোসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ শীর্ষক রথযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে বিজেপি।

আজ (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজ্যটির উত্তরের জেলা কোচবিহার থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অমিত শাহ'র এই কর্মসূচি উদ্বোধন করার কথা ছিল। তবে, শেষ মুহূর্তে তিনি ওই সভায় আসছেন না বলেই জানা গিয়েছে।

এর আগে গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপির এই কর্মসূচির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।

কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত বিজেপিকে ওই সভা করতে না দেওয়ার জন্য আবেদন জানান। এরপরই আদালত নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে বিজেপির রথযাত্রার কর্মসূচি বাতিল করে।

পুলিশ সুপার বলেছিলেন, তাদের কাছে খবর আছে- সভা হলে কোচবিহারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।

এর আগে বিজেপিকে সভা করতে দেওয়া হবে বলে জানায় রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমসহ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বিজেপির রথযাত্রার আয়োজনের সমালোচনা করেছিলেন।

এমনকি, বিজেপি গত ২৯ অক্টোবর থেকে প্রশাসনের কাছে রথযাত্রার অনুমোদন চাইলে সেটিও দেওয়া হয়নি। সে কারণে তারা ২ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই ৬ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রোত চক্রবর্তী এই স্থগিতাদেশ দিয়ে ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিনও ধার্য করে দেন।

এই অবস্থায় পুরো আয়োজন করার পরও বিজেপির রথযাত্রার কর্মসূচি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন- তিনি কোচবিহারের সভায় আসছেন না।

তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার জানিয়েছেন কর্মসূচি চলবে। তিনি আজ সকালে একটি মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে বলেন, বিকাল চারটার সময় সভা শুরু হবে।

অথচ, গতকাল রাজ্য সভাপতির গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। সেই হামলায় তিনি নিজে আহত না হলেও তার বহরে থাকা এক বিজেপি নেতা আহত হন।

সেই ঘটনার পরই গতকাল রাজ্যজুড়ে মশাল মিছিল বের করে হামলার প্রতিবাদ জানায় বিজেপি।

যদিও ঘটনার পর তৃণমূল কোনও মন্তব্য করেনি। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির এই কর্মসূচিকে তারা প্রেস্টিজ ইস্যু হিসেবে নিয়েছে। ফলে বিজেপি সর্বশক্তি দিয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে চাইলে আদালত অবমাননার সামিল হবে।

অন্যদিকে, রাজ্যে বিজেপির উত্থানে অক্সিজেন জোগানো হোক সেটা কোনোভাবেই চায় না শাসক দল। সে কারণেই রথযাত্রার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে সরকার নিজের বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই রাজ্যে শাসক-বিরোধীর এই মুখোমুখি অবস্থান। সবটাই রাজনৈতিক স্বার্থে। দুটি দলের এমন কর্মসূচিতে জনগণের কোনও লাভ নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Matarbari project director sold numerous project supplies

Planning Adviser Prof Wahiduddin Mahmud today said the Matarbari project director had sold numerous project supplies before fleeing following the ouster of the Awami League government on August 5.

1y ago