মেয়ের ভাইরাল টিকটকে বিক্রির শীর্ষে বাবার ১১ বছর আগের বই

গত সপ্তাহে লয়েডের মেয়ে একটি ১৬ সেকেন্ডের টিকটক ভিডিও প্রকাশ করেন। সঙ্গে ছিল সংক্ষিপ্ত বার্তা, ‘তার বইয়ের কিছু কপি বিক্রি হলে আমি খুশি হব’। ছবি: টিকটক ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রীণশট
গত সপ্তাহে লয়েডের মেয়ে একটি ১৬ সেকেন্ডের টিকটক ভিডিও প্রকাশ করেন। সঙ্গে ছিল সংক্ষিপ্ত বার্তা, ‘তার বইয়ের কিছু কপি বিক্রি হলে আমি খুশি হব’। ছবি: টিকটক ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রীণশট

থ্রিলার উপন্যাস লেখা খুব সহজ কাজ নয়। বিশেষত, কেউ যখন চাকরির পাশাপাশি লেখালেখি করেন। যুক্তরাষ্টের বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী ও ৩ সন্তানের পিতা লয়েড দেভেরোঁ রিচার্ডস দীর্ঘ ১৪ বছর সময় নিয়ে থ্রিলার লেখা ও ছাপানোর স্বপ্ন পূরণ করেন। এরপর শুরু হয় বইটি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা।

গত সপ্তাহে লয়েডের মেয়ে একটি ১৬ সেকেন্ডের টিকটক ভিডিও প্রকাশ করেন। সঙ্গে ছিল সংক্ষিপ্ত বার্তা, 'তার বইয়ের কিছু কপি বিক্রি হলে আমি খুশি হব'। টিকটকটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং রাতারাতি বইটি অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবসাইট আমাজনের সিরিয়াল কিলার থ্রিলার বইয়ের তালিকার শীর্ষে চলে যায়।

গতকাল সোমবার যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওতে লয়েডের 'স্টোন মেইডেনস' বইটি লেখার দীর্ঘ সফরে নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। এখন পর্যন্ত ভিডিওটি ৪ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

রাতারাতি বই জনপ্রিয়তা পাওয়ায় লয়েড রিচার্ডস অভিভূত হয়েছে। তার মেয়ে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি তাকে জানালে তিনি সেখানে মানুষের পোস্ট করা মন্তব্যগুলো পড়তে শুরু করেন। প্রশংসাসূচক মন্তব্য পড়ে তার চোখে পানি চলে আসে।

মেয়েও তার সঙ্গে কাঁদেন। বইটি কেনার জন্য তিনি ভক্তদের ধন্যবাদ জানান আর বাবাকে বলেন, 'ওদের কারণে তুমি এখন ১ নম্বর অবস্থানে'।

'তিনি (বাবা) জানতেনও না টিকটক কি বস্তু', যোগ করেন লয়েডের মেয়ে।

তিনি আরও জানান, তার বাবা বইটি শেষ করতে পেরেই খুশি ছিলেন। ২০১২ সালে এটি প্রকাশিত হয়। এতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই'র এক ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীর এক খুনির বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্তের কাল্পনিক কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।

মেয়ে জানান, বই লেখার সময় ব্যক্তি জীবনে ফৌজদারি মামলা ও অপরাধের তদন্তের সঙ্গে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন লয়েড।

অপর এক টিকটক ভিডিওতে লয়েডের মেয়ে বলেন, '২৫ বছরে প্রায় ফিকে হয়ে যাওয়া আশার পর মি. লয়েডের এই অপ্রত্যাশিত সাফল্য সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, যে কখনো হাল ছেড়ে দিতে হয় না'।

এই সাফল্য উদযাপনের জন্য মিল্কশেক হাতে একটি টিকটক প্রকাশ করেন লয়েড। তিনি বলেন, 'গত কয়েকটি দিনে কী হল, তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি'।

এই সাফল্য উদযাপনের জন্য মিল্কশেক হাতে একটি টিকটক প্রকাশ করেন লয়েড। ছবি: রয়টার্স
এই সাফল্য উদযাপনের জন্য মিল্কশেক হাতে একটি টিকটক প্রকাশ করেন লয়েড। ছবি: রয়টার্স

আমাজনে প্রকাশিত জীবনী অনুযায়ী, সাফল্য উদযাপনের জন্য খুব বেশি সময় নিচ্ছেন না লয়েড। ইতোমধ্যে তিনি তার থ্রিলার বইয়ের পরবর্তী খণ্ডের কাজ শুরু করেছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago