কলোরাডোর নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৫

কলারোডার ক্লাব কিউ নাইট ক্লাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর একটি সমকামী নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৫ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অ্যান্ডারসন লি অলড্রিচকে (২২) শনাক্ত করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অলড্রিচ একটি 'লং রাইফেল' দিয়ে গুলি চালিয়েছেন। গুলি চালানোর কিছুক্ষণ পরেই তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৬ সালে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে সমকামী নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪৯ জন নিহত হয়েছিল। পুলিশের গুলিতে ওই হামলাকারী নিহত হন।

হামলাস্থল ক্লাব কিউ কলোরাডোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।

পুলিশ জানায়, গুলির বিষয়ে মাঝরাতে কল পায় তারা। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন সাহসী ব্যক্তির কারণে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

ক্লাবটির মালিকের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুকধারীর কাছে একটি রাইফেল ও অন্তত ৬টি ম্যাগাজিন ছিল এবং তিনি সামরিক ফ্ল্যাক জ্যাকেট পরিহিত ছিলেন। ক্লাব মালিকরা তাকে চিনতেন না।

এই হামলার ঘটনায় আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমেরিকানদের ঘৃণা সহ্য করা উচিত নয়। 'যে জায়গাগুলোকে উদযাপনের নিরাপদ স্থান বলে মনে করা হয় সেগুলোকে কখনোই সন্ত্রাস ও সহিংসতার জায়গায় পরিণত করা উচিত না।'

কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পলিস এই ঘটনাকে 'অশুভ কাজ' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রকাশ্য সমকামী পুরুষ হিসেবে ২০১৮ সালে গভর্নর নির্বাচিত হন।

কলোরাডোতে এর আগেও ১৯৯৯ সালে কলাম্বাইন হাই স্কুলে, ২০১২ সালে ডেনভারের একটি সিনেমা হলে এবং একটি সুপারমার্কেটে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

Comments

The Daily Star  | English

US states worried about election unrest take security precautions

Many of the most visible moves can be seen in the battleground states that will decide the presidential election, states like Nevada where protests by Trump supporters broke out after the 2020 election.

2h ago