নির্বাচিত হলে তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করবেন ঋষি সুনাক

যুক্তরাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ছবি: রয়টার্স

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি জানিয়েছে, ৪ জুলাইর সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে তারা তরুণ-তরুণীদের জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ চালু করা হবে। 

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

শনিবার ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ বছর বয়সীদের সামরিক বাহিনীতে ১২ মাস পূর্ণকালীন প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অথবা, এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতি মাসের একটি সপ্তাহান্তে নিজ লোকালয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এই নীতি 'আমাদের তরুণ-তরুণীদের একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং নতুন করে নিজের দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করতে শেখাবে।'

'এই নতুন, বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ আমাদের তরুণ-তরুণীদের জীবন বদলে দিতে পারে। তাদেরকে বাস্তব জীবনে কাজে লাগে এমন দক্ষতা শেখার সুযোগ, নতুন কিছু করার ও আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ দেবে', যোগ করেন তিনি।

সুনাক বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক বলে অভিহিত করলেও রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি স্কাই নিউজকে বলেন, কোনো তরুণ-তরুণী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা হবে না। 

কনজারভেটিভ পার্টির হিসেব মতে, এই উদ্যোগের পেছনে বছরে প্রায় আড়াই বিলিয়ন পাউন্ড খরচ হবে। ২০২৫ এর সেপ্টেম্বর থেকে এটি চালু হতে পারে।

এই উদ্যোগে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীরা লজিসটিক্স, সাইবার নিরাপত্তা, সরকারি ক্রয় ও নাগরিক প্রতিক্রিয়া অভিযানে সম্পর্কে জানবে এবং এগুলোতে অংশ নিতে পারবে।

স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় দমকলবাহিনী, পুলিশ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে কাজ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে থাকতে পারে বয়স্ক ও একা হয়ে পড়া মানুষকে সহায়তা দেওয়া।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ঘোষণাকে আসন্ন নির্বাচনে ফায়দা নেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন। মূলত, সবচেয়ে জনপ্রিয় বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে নিজেদের আলাদা করার জন্য এই ঘোষণা দিয়েছে সুনাকের দল।

লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার মন্তব্য করেন, এই ঘোষণার পেছনে তেমন কোনো চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লেবার দলের নেতা কের স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও লেবার দলের নেতা কের স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

'এটা এমন এক দলের কাছ থেকে আসা অঙ্গীকার, যারা ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। তাদের চিন্তায় নতুনত্ব নেই', যোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ ১৯৪৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে এ ধরনের আইনের প্রচলন ছিল। সে সময় ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সীরা ১৮ মাসের জন্য সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য হতেন।

নরওয়ে ও সুইডেনসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে একই ধরনের আইন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

UN chief Guterres meets Prof Yunus in Davos

UAE invites Yunus to attend World Governments Summit in Dubai

43m ago