রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেল ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে প্রধান অভিযোগ হলো, ‘ইংরেজি শেখানোর অযুহাতে’ যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রচারণা চালানো।
ট্রাম্প মঙ্গলবার তার ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বলেছেন, ‘পুতিন যে বিষয়টা বুঝতে পারছেন না, তা হলো- আমি না থাকলে রাশিয়ার জন্য অনেক খারাপ কিছু ঘটনা ইতোমধ্যে ঘটে যেত। আমি বলতে চাচ্ছি, সেসব ঘটনা সত্যিই...
সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়ার (প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার সবসময়ই ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, তার কিছু একটা হয়েছে।’
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর আকাশে ৩৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনায় থাকবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও জেলেনস্কির তুমুল বাকবিতণ্ডার পর ইউক্রেন ও মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে যায়।
রোববার পুতিন ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ও দরকষাকষির প্রস্তাব রাখেন। তিনি প্রস্তাব রাখেন, ‘কোনো ধরনের পূর্বশর্ত’ ছাড়াই ১৫ মে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এই বৈঠকের আয়োজন হওয়া উচিত।
সর্বশেষ ২০২২ সালের মার্চে মস্কো-কিয়েভ সরাসরি আলোচনা হয়েছিল। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে মস্কো।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রিগোঝিনের কার্যক্রম শুরুর এক দিন আগেই হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন ও ক্যাপিটল হিলে এ বিষয়ে ব্রিফিং এর আয়োজন করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে রিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আইনটি সঠিক।’
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল চিফ অব স্টাফ সের্হেই সাপতালা জানান, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ইউক্রেনের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ২৮টি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
এর আগে একই প্রতিনিধি দল কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমাদের মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে সমঝোতা করেছিলাম। আমরা বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু বোমা রাখবো। তা রাখা হয়েছে।’
অপর দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পাল্টা আক্রমণ চালানোর সময় ‘বিপর্যয়কর’ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ইউক্রেন এবং চলমান সংঘাতে মস্কোর চেয়ে কিয়েভ পক্ষে হতাহতের সংখ্যা অন্তত ১০ গুণ বেশি।
বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দাবি করছে, কিয়েভের সেনাবাহিনী খুব বেশি সাফল্য পায়নি। বর্তমান পরিস্থিতি ও শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে বিশিষ্ট কয়েকজন বিশ্লেষকের মতামত তুলে ধরেছে মস্কোর...
রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেনের আক্রমণ ব্যর্থ হচ্ছে। আর ইউক্রেনের দাবি, তারা বেশ কিছু রুশ-অধিকৃত অঞ্চলকে স্বাধীন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনের পদাতিক বাহিনীর মেকানাইজড ইউনিটের ৬টি বিএফভি ধ্বংস হয়েছে। আরও ৩টি যান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেগুলোকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। অপর একটি যানের কোনো ক্ষতি হয়নি।
আইসল্যান্ড গতকাল শুক্রবার বলেছে, ১ আগস্ট থেকে মস্কোতে দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত করা হবে।