পুতিন এক হিংস্র ও অত্যাচারী শাসক: বাইডেন

জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিন। প্রতীকী ছবি: বাসস
জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিন। প্রতীকী ছবি: বাসস

আড়াই বছর ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করেন। 

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে রুশ রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যম তাস।

ওয়েস্ট পয়েন্টে মার্কিন সামরিক একাডেমিতে স্নাতকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে জো বাইডেন বলেন, 'ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো মার্কিন সেনা অংশ নিচ্ছে না। আমি বিষয়টাকে এরকমই রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।'

সম্প্রতি খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ছবি: রয়টার্স
সম্প্রতি খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ছবি: রয়টার্স

'কিন্তু আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকছি এবং আগামীতেও থাকব। আমরা এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি যাকে আমি বহু বছর ধরে চিনি। সে একজন হিংস ও অত্যাচারী শাসক। আমরা (ইউক্রেনকে ফেলে) চলে যাচ্ছি না এবং চলে যাবও না', যোগ করেন তিনি।

বাইডেন বলেন, 'পুতিন নিশ্চিত ছিলেন ন্যাটোতে ফাটল ধরাতে পারবেন।'

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি ২০২১ সালে জেনেভায় এক বৈঠকে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাখতে বা ফিনল্যান্ডের মতো করতে চাইলে এর ফল হবে সমগ্র ইউরোপ ন্যাটোতে যোগ দেবে।

'আজ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা জোট (ন্যাটো) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী', যোগ করেন তিনি।

পুতিনের এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আনতোনভ।

তিনি জানান, রুশ প্রেসিডেন্টকে নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে বাইডেন সমগ্র রুশ জাতিকে অপমান করেছেন।

'আমি বিশ্বাস করি এ ধরনের ব্যবহার যেকোনো দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য, বিশেষত সেই রাজনীতিবিদ যখন যুক্তরাষ্ট্রে মতো একটি দেশের নেতা', যোগ করেন তিনি।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ দূতাবাস
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ। ছবি: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ দূতাবাস

তিনি আরও বলেন, 'রুঢ় বাক্যের ব্যবহার ও আমাদের প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এটাই প্রমাণ হয়েছে যে রাশিয়ার ওপর রেগে আছে ওয়াশিংটন, কারণ দেশটি (যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত) তথাকথিত বৈশ্বিক নীতিমালার বিরুদ্ধাচারণ করেছে।'

রুশ কূটনীতিক আরও বলেন, 'মার্কিন প্রশাসনকে এটা অনুধাবন করতে হবে যে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ মেনে নিরপেক্ষ ও সার্বভৌম নীতি অবলম্বন করতে থাকব।'

 

Comments