রাতভর ড্রোন হামলায় ৬ রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি কিয়েভের

রুশ বিমানবাহিনীর অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান সুখোই এস৩৫এস। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রুশ বিমানবাহিনীর অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান সুখোই এস৩৫এস। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার দক্ষিণের রোস্তভ অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে ছয়টি সামরিক যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

এর আগে রাশিয়া ৫৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংসের দাবি করলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার কিয়েভ গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালায়। গতকাল রাত থেকে শুরু করে আজ সকাল পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে।

কিয়েভের নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্র এএফপিকে জানান, রোস্তভ অঞ্চলের মোরোযোভস্ক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস ও আরও আটটি বিমানকে বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ অভিযান ছিল, যা রুশদের যুদ্ধ সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দেবে।'

তিনি জানান, এই হামলায় যৌথভাবে সেনাবাহিনী ও এসবিইউ নিরাপত্তা সংস্থা অংশ নেয়।

রাশিয়া এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

রাশিয়ার সুখোই এসইউ-৩০এসএমই যুদ্ধবিমান। ছবি: রোসোবোরনএক্সপোর্ট

এএফপি নিরপেক্ষভাবে কিয়েভের দাবি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

রোস্তভের গভর্ণর ভ্যাসিলি গোলুবেভ মরোজোভস্ক জেলায় ড্রোন হামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও, তিনি জানান, এতে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র 'সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ' হয়। যার ফলে প্রায় ৬০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের কিছু জানালা উড়ে গেছে। তবে তিনি বিমানঘাঁটির বিষয়ে কিছু জানাননি।

এর আগে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ৫৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এই ড্রোনগুলোর বেশিরভাগই রাশিয়ার দক্ষিণের রোস্তভ অঞ্চলে হামলার উদ্দেশ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল

'চেকমেট': পঞ্চম প্রজন্মের রুশ সুখোই যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
'চেকমেট': পঞ্চম প্রজন্মের রুশ সুখোই যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

'৫ এপ্রিল ভোরে ও এর আগের রাত থেকে কিয়েভের শাসকগোষ্ঠী ড্রোনের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, যার সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছে', যোগ করে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, রোস্তভ অঞ্চলে ৪৪টি ড্রোন ধ্বংস ও ভূপাতিত করা হয়। বাকিগুলো অন্যান্য এলাকায় ধ্বংস হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

12h ago