আমাদের বাঁচা-মরা, ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ইউক্রেন যুদ্ধের উপর: পুতিন

ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের উপর রাশিয়ার 'বাঁচা-মরা' নির্ভর করছে এবং এই যুদ্ধের ফলাফলে দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে পারে। এমনটাই বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

প্রায় দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর প্রথম থেকেই ক্রেমলিন এই সংঘর্ষকে রাশিয়ার 'অস্তিত্বের' সংগ্রাম হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে রুশদের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করার চেষ্টা চালিয়েছে ক্রেমলিন। রুশদের অনেকেই এই যুদ্ধের বিষয়ে নিস্পৃহ বলেও তারা অভিহিত করেন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, 'আমি মনে করি এটা (ইউক্রেন যুদ্ধ) এখনো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কী ভাবছি তা দেশের বাইরে থাকা দর্শক-শ্রোতাদের জানা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

আজ রোববার এই সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

কৃষ্ণ সাগরের অবকাশ যাপন কেন্দ্র সোচিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর হাত নেড়ে তাকে বিদায় জানাচ্ছেন পুতিন। ছবি: রয়টার্স
কৃষ্ণ সাগরের অবকাশ যাপন কেন্দ্র সোচিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর হাত নেড়ে তাকে বিদায় জানাচ্ছেন পুতিন। ছবি: রয়টার্স

'ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যা হচ্ছে: তাদের জন্য এটা কৌশলগত অবস্থানের উন্নয়ন, কিন্তু এর সঙ্গে আমাদের নিয়তি, আমাদের বাঁচা-মরার বিষয়গুলো জড়িত', যোগ করেন পুতিন। 

সম্প্রতি পুতিন মার্কিন সাংবাদিক ও টক শো হোস্ট টাকার কার্লসনকে দুই ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎকার দেন। এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে কে প্রশ্নের জবাবে পুতিন এ কথা বলেন।

টাকারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন রুশ ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত বলেন। তিনি একাধিকবার রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, যা কিয়েভ ও পশ্চিমের কাছ থেকে নিন্দা কুড়িয়েছে।

এই সাক্ষাৎকারে দীর্ঘ সময়য় ধরে ইতিহাস নিয়ে কথা কেন বলেছেন, তার জবাবে পুতিন বলেন, 'পশ্চিমা শ্রোতা-দর্শকের জন্য এটা সহজ নয়। মার্কিনদের জন্য তো আরও নয়।'

তিনি বলেন, 'মার্কিন ইতিহাস মাত্র ৩০০ বছরের পুরনো, আর আমি ৮৬২ সাল থেকে বলা শুরু করেছি। স্বভাবতই, মার্কিন দর্শক-শ্রোতাদের জন্য বিষয়গুলো বোঝা সহজ নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

8h ago