রুশ নৌকমান্ডার হত্যার দাবি ইউক্রেনের, নিশ্চুপ মস্কো

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ
রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরের কমান্ডার ভিক্টর সোকোলভ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গত সপ্তাহে ক্রিমিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তারা মস্কোর নৌবাহিনীর একজন অ্যাডমিরাল ও ৩৩ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।

গতকাল সোমবার রয়টার্স এই তথ্য জানায়।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রয়টার্স অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভের মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করলেও তারা কোনো উত্তর দেয়নি।

সোকোলভ কৃষ্ণ সাগরের নৌবহরের কমান্ডার এবং রাশিয়ার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নৌ কর্মকর্তাদের অন্যতম।

সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিমিয়ায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেন যুদ্ধের ১৯ মাসে এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল থেকেই রাশিয়া তাদের বেশিরভাগ আকাশ হামলা (ড্রোন ও আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র) চালিয়েছে।

সোকোলভের মৃত্যু নিশ্চিত হলে সেটা হবে ক্রিমিয়ায় কিয়েভের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনা। ২০১৪ সালে এই অঞ্চলটি অধিগ্রহণ করে রাশিয়া।

ইউক্রেনের 'স্পেশাল ফোর্স' তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানায়, 'রুশ কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের সদর দপ্তরে চালানো হামলায় ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হন, যাদের মধ্যে আছেন নৌবহরের রুশ কমান্ডার। আরও ১০৫ জন আহত হয়েছেন। সদর দপ্তরটি এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে একে আর মেরামত করা সম্ভব হবে না।'

স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত ছবিতে রুশ নৌবহরের সদর দপ্তরে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত ছবিতে রুশ নৌবহরের সদর দপ্তরে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

তবে কীভাবে ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স হতাহতের সংখ্যা গণনা করেছে, তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি।

রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্রের এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে-কমিয়ে বলার প্রবণতা দেখিয়েছে উভয় পক্ষ।

এই হামলার পর রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, একজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পরে সেই বিবৃতি পালটে বলা হয় তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন তাদের পালটা হামলার অংশ হিসেবে কৃষ্ণ সাগর ও ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কলেবর বাড়িয়েছে। কিয়েভ জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন করা রুশ জাহাজগুলো ধ্বংস করতে পারলে দ্রুত যুদ্ধ শেষ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago