কিয়েভে রাশিয়ার নজিরবিহীন ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরুর পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ১৫ মাস। মিত্র দেশগুলোর সহায়তায় বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্রটির নানা মাত্রার হামলা ইউক্রেন সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করে এসেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সকালে কিয়েভে ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমন্বয়ে নজিরবিহীন তীব্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ভাষায়, এটি 'ব্যতিক্রমধর্মী' হামলা।
আজ বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিয়েভের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সকাল থেকে এই 'ব্যতিক্রমধর্মী' ও তীব্র হামলা শুরু হয়েছে। চলতি মাসে কিয়েভে এটি অষ্টম ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হেই পোপকো এই হামলা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মন্তব্য করেন, 'এর তীব্রতা ছিল ব্যতিক্রমধর্মী—ন্যূনতম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে।'
তিনি দাবি করেন, 'প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, কিয়েভের আকাশেই শত্রুপক্ষের বেশিরভাগ টার্গেট (ক্ষেপণাস্ত্র/ড্রোন) চিহ্নিত ও ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।'
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী ঠিক কতগুলো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে পেরেছে এবং কতগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, আজ কিয়েভের ওবোলনস্কি, শেভচেনকিভস্কি, সলোমিয়ানস্কি ও দারনিতস্কি জেলায় কিছু ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে।
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো রয়টার্সকে জানান, কিয়েভ অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বে শহর বরিস্পিলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। এ শহরেই কিয়েভের প্রধান যাত্রীবাহী বিমানবন্দরের অবস্থান, যা বর্তমানে বন্ধ আছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি কিয়েভের মেয়রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ রাজধানীর বেশ কয়েকটি অংশে পড়েছে। এর মধ্যে আছে শহরের চিড়িয়াখানা। এ ঘটনায় কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। অন্তত ১টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যান্য জেলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি এবং কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে সেখানকার সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে।
আজ ভোর থেকেই ইউক্রেনজুড়ে উড়োজাহাজ হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়েছে। কিয়েভ ও সংলগ্ন এলাকায় টানা ৩ ঘণ্টা ধরে সাইরেন বেজেছে।
Comments