যে কারণে সবসময় সঙ্গে পিস্তল রাখেন জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সবসময় সঙ্গে পিস্তল রাখেন। যুদ্ধের শুরুতে যদি রুশ বাহিনী কিয়েভে তার কার্যালয়ে ঢুকে পড়তো, তাহলে তিনি ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যেতেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

গতকাল শনিবার টেলিভিশনে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ওয়ান প্লাস ওয়ান টিভি চ্যানেলকে বলেন, 'কীভাবে গুলি চালাতে হয়, তা আমার জানা আছে। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে পত্রিকার শিরোনামে লেখা হচ্ছে, "ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আটক করেছে রুশরা?" সেটা হতো অপমানজনক ঘটনা। আমার বিশ্বাস, এটা খুবই অপমানজনক।'

ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর রাশিয়ার গোয়েন্দা ইউনিট কিয়েভে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাছে বানকোভা সড়কে তারা পরাজিত হলে তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

কিয়েভের দাবি, রুশ বাহিনী শহরের বাইরে বেশ কয়েকবার হামলা চালালেও তারা এগোতে পারেনি। রুশরা বেশ কয়েকবার শহরের ভেতরে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছেন বলেও কর্মকর্তারা দাবি করেন।

জেলেনস্কি বলেন, 'আমার ধারণা, তারা যদি ভেতরে ঢুকে যেতে পারতো, বিশেষ করে, প্রশাসনে, তাহলে আমরা আজ এখানে থাকতে পারতাম না।'

তিনি আরও বলেন, 'তবে কাউকে তারা বন্দি হিসেবে নিতে পারতো না। কারণ, বানকোভা সড়কে সুপ্রশিক্ষিত প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন ছিল।'

তিনি পিস্তল ব্যবহার করেন কি না এবং সব সময় তা সঙ্গে রাখেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি ইতিবাচক জবাব দেন। তাকে আটক করা হলে আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্যে সঙ্গে পিস্তল রাখেন কি না, এ কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা নাকচ করে দেন।

জেলেনস্কি বলেন, 'না, না, না। এটা আমার নিজেকে গুলি করার জন্য নয়। নিশ্চিতভাবেই, এটা গুলি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

4h ago