রুশ প্রতিশোধের তৃতীয় দিনে মিকোলাইভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী একমাত্র সেতুতে বিস্ফোরণের পর টানা ৩ দিন ধরে 'প্রতিশোধ' হিসেবে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তীব্র হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।
সেই ধারায় আজ বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মিকোলাইভ।
কিয়েভের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে মিকোলাইভে বেশ কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হয়েছে।
মিকোলাইভের মেয়র অলেক্সান্দার সেনকেভিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, 'হামলায় একটি ৫ তলা আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের উপরের ২টি তলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। বাকি অংশটুকু ইট-পাথরের নিচে চাপা পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।'
দক্ষিণাঞ্চলের এই শহরে 'বড় আকারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা' চালানো হয়েছে উল্লেখ করলেও তিনি হতাহতের বিষয়ে কিছু বলেননি।
ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরের দক্ষিণের বাগ নদীর তীরে বন্দর নগরী মিকোলাইভে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বৈঠকে মন্তব্য করেন, 'রাশিয়ার সাম্প্রতিক আক্রমণগুলো তাদের "খারাপ উদ্দেশ্য ও নিষ্ঠুরতাকে" আবারও উন্মুক্ত করেছে।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রতিশোধমূলক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনজুড়ে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্ব ব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকে ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, 'ইউক্রেন যত বেশি সহায়তা পাবে, তত দ্রুত যুদ্ধ শেষ হবে।'
তিনি জানান, আগামী বছর দেশটির ৫৫ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৩৮ বিলিয়ন বাজেট ঘাটতি মেটাতে ও ১৭ বিলিয়ন স্কুল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর পুনর্নির্মাণে ব্যবহৃত হবে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো ইউক্রেনের কয়েকটি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে। দনেৎস্ক প্রদেশে ইউক্রেনের গভর্নর দাবি করেন, আভদিভকা শহরের এক বাজারে রুশ হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন।
প্রথম ২ দিন ইউক্রেনজুড়ে হামলা হলেও তৃতীয় দিনে অন্য কোথাও হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি জনপদের দখল ফিরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে অবস্থান সুসংহত করা হয়েছে। সেগুলো খেরসনের রুশ অধিকৃত শহর বেরিস্লাভের কাছাকাছি বলেও জানানো হয়।
যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদগুলো রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।
Comments