রুশ বাহিনীর সমালোচনায় চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে খারকিভ প্রদেশে সামরিক দিক থেকে কৌশলগত ইজিউম শহর থেকে রুশ সেনা ‘প্রত্যাহারের’ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।
রমজান কাদিরভ
রমজান কাদিরভ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে খারকিভ প্রদেশে সামরিক দিক থেকে কৌশলগত ইজিউম শহর থেকে রুশ সেনা 'প্রত্যাহারের' ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ।

গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ১১ মিনিটের ভয়েস বার্তায় চেচেন নেতা কাদিরভ গত সপ্তাহে রুশ সেনাদের ভূমিকার সমালোচনার পাশাপাশি স্বীকার করেন যে, 'এটি পরিকল্পনা মতো হয়নি'।

তিনি আরও বলেন, 'যদি বিশেষ সামরিক অভিযানের আচরণ না বদলায় তাহলে আমি যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে (প্রেসিডেন্ট পুতিনের) সঙ্গে কথা বলবো।'

রুশ সংবাদমাধ্যম 'নোভায়া গেজেতা ইউরোপ'কে কাদিরভ বলেন, 'আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতো কৌশলবিদ নই। তবে এটা পরিষ্কার যে, কোথাও ভুল হয়েছে।'

তিনি আশা করছেন, শহরগুলোর ওপর আবার রুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

কাদিরভ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ১০ হাজার যোদ্ধা রুশ সেনাদের সঙ্গে যোগ দিতে প্রস্তুত আছে। বলেন, 'অদূর ভবিষ্যতে আমরা (দক্ষিণ ইউক্রেনের) ওডেসা বন্দরে পৌঁছে যাব।'

প্রতিবেদন অনুসারে, গত মার্চে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছ থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহারের পর গত সপ্তাহে ইজিউম থেকে সেনাদের সরে আসাকে মস্কোর 'সবচেয়ে বড় পরাজয়' হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কিয়েভে আল জাজিরার প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল ইলিজোনদো সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, রুশপন্থি অনেক বিশ্লেষক গত সপ্তাহের ঘটনাকে 'মস্কোর পরাজয়' হিসেবে দেখছেন।

তিনি জানান, টেলিগ্রামে এক জ্যেষ্ঠ রুশ সামরিক বিশ্লেষক বলেছেন, 'রুশ বাহিনী "পরিচালনা সংকটে" আছে এবং ইউক্রেন সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে।'

গত শনিবার রুশ সেনাদের ইজিউম শহর থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোর রেড স্কয়ারে আতশবাজির মধ্য দিয়ে নগর প্রতিষ্ঠার উৎসব উদযাপন করেন। মস্কো নগরী ১১৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

17h ago