প্রথম সৌদি নারী রায়ানাহ বার্নাবির মহাশূন্যে যাত্রা
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের একটি রকেটে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রথম সৌদি মুসলিম নভোচারী রায়ানাহ বার্নাবি।
আজ সোমবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সৌদি আরবের ব্রেস্ট ক্যান্সার গবেষক রায়ানাহ'র সঙ্গে যোগ দেন যুদ্ধবিমানের পাইলট ও পুরুষ নভোচারী আলি আল-কারনি।
নভোচারীদের বহনকারী স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণে কেপ কানাভেরালের কেনেডি মহাকাশকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা ৩৭ মিনিটে) উড্ডয়ন করে।
নভোচারী দলে আরও আছেন নাসার সাবেক নভোচারী পেগি হুইটসন ও পাইলটের দায়িত্বে আছেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন শফনার।
আজ সোমবার সকালে ৪ নভোচারী তাদের ক্যাপসুলে করে মহাকাশকেন্দ্রে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে তারা ১ সপ্তাহ থেকে মার্কিন অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার দক্ষিণ উপকূলে 'স্প্ল্যাশডাউন' প্রক্রিয়ায় অবতরণ করবেন।
কক্ষপথে পৌছে রায়ানাহ বলেন, 'হ্যালো! আমি মহাকাশ থেকে বলছি। ক্যাপসুলে বসে পৃথিবী দেখার অনুভূতি অতুলনীয়।'
সৌদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এর আগে রায়ানাহ জানান, প্রথম সৌদি নারী নভোচারী হিসেবে মহাকাশে যেতে পেরে তিনি 'অত্যন্ত আনন্দিত ও সম্মানিত।'
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এটি ব্যক্তিগত পর্যায়ের দ্বিতীয় ফ্লাইট। এর আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান একজিওম স্পেস।
প্রথম অভিযানে নাসার অপর এক অবসরপ্রাপ্ত নভোচারীর সঙ্গে ৩ ব্যবসায়ী মহাকাশে যান। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিজস্ব কিছু কক্ষ যোগ করার পরিকল্পনা আছে একজিওমের। পরবর্তীতে ভাড়া দেওয়ার জন্য একটি আলাদা অবকাঠামো নির্মাণেরও পরিকল্পনা আছে তাদের।
১০ দিনের অভিযানে সৌদি আরব ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ব্যবসায়ী শফনার কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন, তা জানায়নি একজিওম। তবে এর আগে জনপ্রতি ৫৫ মিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলিত ব্যয়ের কথা জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বেশ কয়েক দশক ধরে মহাকাশ পর্যটনকে নিরুৎসাহিত করলেও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এখন এ বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। বছরে অন্তত ২টি এ ধরনের অভিযান আয়োজনের কথা ভাবছে সংস্থাটি। বেশ কয়েক দশক ধরে রুশ মহাকাশ এজেন্সি এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
Comments