আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা প্রক্রিয়া এখন আরও সহজ

৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা সংযুক্ত আরব আমিরাতের
সংযুক্ত আরব আমিরাত। ছবি: রয়টার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাত কোনো স্পনসরশিপ ছাড়াই গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করার সুযোগ দিচ্ছে। কাজ, বসবাস ও পড়াশোনার জন্য দেওয়া হবে এই সুবিধা।

শুধু তাই নয়, গোল্ডেন ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মাসিক আয়ও ৫০ হাজার দিরহাম থেকে কমিয়ে ৩০ হাজার দিরহাম করা হয়েছে। এর ফলে, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা প্রশাসন, শিক্ষা, আইনের মতো আরও অনেক ক্ষেত্রে কর্মরতদের এই ভিসা পাওয়া সহজ হবে।

গতকাল রোববার গালফ বিজনেস এবং খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, ন্যাশনালিটি, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি ১০ বছরের গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে এন্ট্রি পারমিট ফি সংশোধন করেছে। ৬ মাসের এন্ট্রি পারমিটের জন্য পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ২৫০ দিরহাম। এই খরচের মধ্যে ১ হাজার দিরহাম ভিসা ইস্যু ফি, ১০০ দিরহাম আবেদন ফি, ১০০ দিরহাম স্মার্ট পরিষেবা ফি, ২৮ দিরহাম ইলেকট্রনিক পরিষেবা ফি এবং ২২ দিরহাম ফেডারেল কর্তৃপক্ষের ফি।

এন্ট্রি পারমিটের জন্য আবেদন করার সময় গোল্ডেন ভিসার আবেদনকারীদের অবশ্যই পাসপোর্ট, এক কপি রঙিন ছবি এবং তিনি যে এই ভিসার জন্য আবেদন করার যোগ্য, সেই বিষয়ে প্রমাণসহ আরও কিছু নথি জমা দিতে হবে।

আমিরাত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা দেয়। মূলত দক্ষ কর্মী ও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতেই এই ভিসা দেয় দেশটি। বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ, সরকারি কাজে বিনিয়োগকারী, আবাসন খাতে বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফলকারী, সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা অন্যান্য দেশের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা এই ভিসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান।

http://smartservices.icp.gov.ae ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেওয়া যাবে যে আবেদনকারী গোল্ডেন ভিসার জন্য উপযুক্ত কি না।

গোল্ডেন ভিসাপ্রাপ্তরা তাদের পরিবারের যেকোনো বয়সী সদস্যদের আমিরাতে নিয়ে যেতে পারেন।

আবাসন খাতে বিনিয়োগকারীরা অন্তত ২০ লাখ দিরহাম মূল্যের সম্পত্তি কিনে আরব আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পেতে পারেন। এ ছাড়া, দেশটিতে নিবন্ধিত কোনো রাজস্ব আয়কারী স্টার্টআপের মালিক হলে বা অংশীদার হলেও উদ্যোক্তারা এই ভিসা পেতে পারেন।

কন্সট্রাকশন উইকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদনের পর এন্ট্রি পারমিটের ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ আবেদন জমা দেওয়া হলে ৩০ দিনের মধ্যে তা ফেরত পাঠানো হবে। যদি তথ্য ঘাটতি বা প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহের মতো অসম্পূর্ণ আবেদন ৩ বার ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে দেওয়া হবে এবং আবেদনকারীর জমা দেওয়া ফি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হবে।

দুবাইয়ের রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্সের জেনারেল ডিরেক্টরেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত গোল্ডেন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬টি।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago