ভূমিকম্পে তুরস্কে ধসে পড়েছে ১৭১৮ ভবন

তুরস্কের দিয়ারবাকিরে ভূমিকম্পে একটি ভবন ধসে পড়ে। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের দিয়ারবাকিরে ভূমিকম্পে একটি ভবন ধসে পড়ে। ছবি: রয়টার্স

৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, দেশটিতে ১ হাজার ৭১৮ ভবন ধসে পড়েছে।

আজ সোমবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওতকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এখনও শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও জানান, গাজিআন্তাপ ও কাহরামানমারাস প্রদেশে প্রায় ৯০০ ভবন ধ্বংস হয়েছে। 

তিনি সারা দেশে ধসে পড়া ভবনের সংখ্যা ১ হাজার ৭১৮ বলে নিশ্চিত করেছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ভূমিকম্পটি তুরস্কের গাজিআন্তাপ প্রদেশের নুরদাগি জেলার ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার। নুরদাগি অঞ্চলটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত। এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়, যার মধ্যে আছে সিরিয়া, লেবানন ও ইসরায়েল।

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওতকে। ফাইল ছবি: এএফপি
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওতকে। ফাইল ছবি: এএফপি

ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত আরও জানান, দেশটিতে ২৮৪ জন নিহত ও ২ হাজার ৩২৩ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারদল ও সরবরাহ উড়োজাহাজ পাঠিয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তুরস্কে '৪ মাত্রার' সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিবেশী সিরিয়ায় অন্তত ২৩৭ জন নিহত ও ৬৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তি আহত হয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম সানা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও তারতাস অঞ্চলের বাসিন্দা।

২ দেশ মিলিয়ে নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৫০০ ও ৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রথমবার ভূমিকম্প আঘাত হানার পরও বিভিন্ন মাত্রার আরও ১৮টি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
fire at Secretariat

Secretariat fire sabotage or accident still not known: Fire service DG

Muhammad Jahed Kamal, director general of the Fire Service and Civil Defence, today said the cause of the devastating fire at Building No. 7 of the Bangladesh Secretariat still remains unknown

11m ago