সিডনিতে আবারও ছুরি হামলা

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে একটি গির্জায় বিশপকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গির্জার বাইরে পুলিশের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যনগরী সিডনির পশ্চিমে একটি গির্জায় একজন বিশপ এবং একজন ধর্মীয় নেতাকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, বিশপ মার মারি ইমানুয়েল এসময় উপদেশ দিচ্ছিলেন। যা ইন্টারনেটে লাইভ স্ট্রিম করা হচ্ছিল। এসময় গির্জায় প্রবেশ করে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ধর্মীয়গুরুকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কালো পোশাক পরা এক কিশোর বিশপের কাছে আসছেন এবং তার মাথা ও শরীরে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করছেন। 

নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ কমিশনার কারেন ওয়েব বলেন, 'হামলা চালানোর সময় ছেলেটি বেশ কিছু মন্তব্য করছিল।'

এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনার পর গির্জার বাইরে উপস্থিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা হামলাকারী কিশোরকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এবং পুলিশের যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কিশোরকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন এবং শান্ত থাকার আহ্বানে সবাই সম্মত হয়েছেন বলে জানান।  

পুলিশ হেলিকপ্টারসহ পুলিশের যানবাহন এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।

পুলিশ পশ্চিম সিডনির গির্জায় ছুরি হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা শান্তিপ্রিয় জাতি। এখন সময় একতাবদ্ধ হওয়ার, বিভক্ত হওয়ার নয়।'

উল্লেখ্য, গত শনিবার সিডনির পূর্ব শহরতলির বন্ডাই জংশন ওয়েস্টফিল্ড শপিংমলে ছুরিকাঘাতে ৬ জন মারা গেছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২ জন ।

আকিদুল ইসলাম : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Martyred Intellectuals’ Day: No list of martyred intellectuals for now

The Ministry of Liberation War Affairs has put on hold its initiative to prepare a comprehensive list of martyred intellectuals, who were brutally killed by Pakistani military forces with the help of local collaborators in 1971, creating uncertainty over the completion of such a list.

6h ago