তাসমানিয়ার উপকূলে ২৩০ তিমি আটক, চলছে উদ্ধার
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া প্রদেশের পশ্চিম উপকূলে প্রায় ২৩০টি তিমি আটকে আছে। কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি একটি দ্বীপে ১৪টি তিমি পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তাসমানিয়ার ওশ্যান বিচ নামের সমুদ্রতটে আটকে থাকা তিমিগুলো 'পাইলট' জাতের। তাসমানিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ বিভাগ আজ বুধবার জানিয়েছে, আটকে থাকা তিমির মধ্যে অন্তত অর্ধেক এখনও বেঁচে আছে।
বিভাগটি আরও জানায়, সামুদ্রিক সম্পদ সুরক্ষা প্রকল্পের একটি দল তিমি উদ্ধারের সরঞ্জাম সহ উল্লেখিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানায়, ম্যাকোয়ারি হার্বারের প্রবেশপথ থেকে তিমিগুলোকে দেখা যাচ্ছে। তিনি তিমি মাছের আটকে পড়ার বিষয়টিকে একটি 'বড় ঘটনা' বলে আখ্যায়িত করেন।
ওয়েস্ট কোস্ট কাউন্সিলের মহাব্যবস্থাপক ডেভিড মিডসন এলাকাবাসীকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার উপদেশ দিয়েছেন।
পরিবেশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, 'তিমি মাছ একটি সুরক্ষিত প্রাণী। এমন কী, এরা মারা গেলেও তাদের মরদেহে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।'
গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন বিজ্ঞানী ওলাফ মেইনেক জানান, এই প্রজাতির তিমি মাছের উপকূলে ভেসে আসার ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক। তিনি জানান, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে সমুদ্রের স্রোতের দিক পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে, যার ফলে তিমি মাছের প্রথাগত খাবারের উৎসগুলোও হয়তো দূরে সরে গেছে।
মেইনেক আরও বলেন, এরকম পরিস্থিতিতে 'তারা ভিন্ন খাবারের উৎসের জন্য ভিন্ন অঞ্চলে চলে যাবে। যখন তারা এভাবে যাত্রা করে, তখন তাদের শারীরিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো থাকে না। ক্ষুধার্ত অবস্থায় তারা বেশি ঝুঁকি নেয় এবং উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে।'
সোমবার বিকালে তাসমানিয়া প্রদেশের কিং দ্বীপের উপকূলে ১৪টি 'স্পার্ম' তিমি আটক অবস্থায় পাওয়া যায়।
২ বছর আগে, প্রায় ৪৭০টি পাইলট তিমি তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলের বালুতে আটক অবস্থায় পাওয়া যায়, যা একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। প্রায় ১ সপ্তাহের উদ্ধার কার্যক্রমে ১১১টি তিমি মাছ জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে বাকি তিমিগুলো মারা যায়।
Comments