গাজায় জাতিসংঘের চেতনার মৃত্যু হয়েছে: এরদোয়ান

তুরস্কের নেতা এরদোয়ান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের নেতা এরদোয়ান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন থামানোর ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

এরদোয়ান 'মুসলিম বিশ্বকে' গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ মারাত্মক হামলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তার নিজ দল একেপি'র আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, 'জাতিসংঘ তাদের নিজেদের কর্মীদেরকেই সুরক্ষা দিতে পারছেন। আপনারা (জাতিসংঘ) কোনো পদক্ষেপ (ইসরায়েলের বিরুদ্ধে) না নিয়ে কিসের অপেক্ষায় রয়েছেন? গাজায় জাতিসংঘের চেতনার মৃত্যু হয়েছে।'

এরদোয়ানের মন্তব্য এমন সময় এলো যখন রাফার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহতের বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক চলছে।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলকে রাফায় হামলা বন্ধের নির্দেশ দিলেও এই রায়কে 'অস্পষ্ট' বলে অভিহিত করে হামলা অব্যাহত রেখেছে তেল আবিব।

তুরস্কের নেতা অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত কণ্ঠে প্রতিবাদ না জানানোর অভিযোগ তুলেন এবং দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেন।

'মুসলিম বিশ্বের প্রতি আমার কিছু কথা আছে। আপনারা সম্মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন দেরি করছেন?', যোগ করেন তিনি।

৮ কোটি ৫০ লাখ মুসলিম অধ্যুষিত তুরস্কের নেতা এরদোয়ান আরও বলেন, 'ইসরায়েল শুধু গাজা নয়, মানবতার প্রতি এক হুমকি'।

'যতদিন পর্যন্ত ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন মানছে না, ততদিন কোন দেশই নিরাপদ নয়', যোগ করেন তিনি।

এরদোয়ান অভিযোগ করেন, গাজায় 'গণহত্যা' চালাচ্ছে ইসরায়েল। 

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫২ জন। জিম্মিদের মধ্যে ১২১ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩৭ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজার ৫০। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago