ত্রাণকর্মীদের অবস্থানে জেনেবুঝে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের ত্রাণসংস্থার গাড়িবহরে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের ত্রাণসংস্থার গাড়িবহরে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করে গাজায় ত্রাণকর্মীদের গাড়িবহর ও অবস্থানে অন্তত আট বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামের ত্রাণসংস্থার গাড়িবহরে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে আগে থেকেই এসব অবকাঠামো ও গাড়ি বহরের যাত্রাপথের তথ্য দেওয়া সত্ত্বেও এসব হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

নতুন এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কখনোই এসব হামলা সম্পর্কে কোনো ত্রাণসংস্থাকে অগ্রিম হুশিয়ারি বা সতর্কবাণী পাঠায়নি।

এসব হামলায় অন্তত ৩১ জন মানবাধিকার কর্মী ও তাদের সহযোগী নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে ত্রাণ সংস্থার অভিযোগের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে ইসরায়েলি হামলায় একটি মার্কিন বোমা ব্যবহার করা হয়। এই বোমাটি বহন করে একটি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং এটি নির্মাণে যুক্তরাজ্যের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর বেলকিস উইলে বলেন, 'ইসরায়েলের মিত্রদের স্বীকার করতে হবে যে (তাদের অস্ত্রের ব্যবহারে) এসব হামলায় ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছেন এবং এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে, যা বন্ধ করা প্রয়োজন।'

এপ্রিলের শুরুতে ইসরায়েলের বিমানহামলায় গাজার কেন্দ্রে অন্তত ৫ বিদেশি এনজিওকর্মী নিহত হন।

ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীরা গাজাবাসীদের খাবার সরবরাহ করছেন। ছবি: রয়টার্স
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের কর্মীরা গাজাবাসীদের খাবার সরবরাহ করছেন। ছবি: রয়টার্স

নিহত পাঁচ ব্যক্তি তারকা শেফ হোসে আন্দ্রেসের এনজিও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনে (ডব্লিউসিকে) কর্মরত ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৬০ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫০ জন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। এই আগ্রাসনে গত ৭ মাসে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার ৬১ জন। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮২ জন ফিলিস্তিনি।

 

Comments