লোহিত সাগরে রাশিয়া-চীনের জাহাজ সম্পূর্ণ নিরাপদ: হুতি

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানহামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন হুতি বাহিনীর সদস্য ও তাদের সমর্থকরা। ছবি: রয়টার্স
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানহামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন হুতি বাহিনীর সদস্য ও তাদের সমর্থকরা। ছবি: রয়টার্স

হুতি বিদ্রোহীদের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অঙ্গীকার করেছেন, লোহিত সাগরে রুশ ও চীনা জাহাজ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটি গাজার ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বেশ কিছুদিন ধরে লোহিত সাগরে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

হুতি বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মেদ আল-বুখাইতি রুশ পত্রিকা ইজভেসতিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইয়েমেনের আশেপাশের জলসীমা বেশিরভাগ দেশের জন্য নিরাপদ। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এই জাহাজগুলোর সঙ্গে যেন ইসরায়েলসহ সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের যোগসূত্র না থাকে।

'রাশিয়া ও চীনসহ অন্য সব দেশের জন্য এই অঞ্চলে নৌপরিবহনে কোনো ঝুঁকি নেই', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এ ছাড়া, আমরা লোহিত সাগরে তাদের জাহাজগুলোর জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত, কারণ আমাদের দেশের (অর্থনীতির) জন্য অবাধ নৌপরিবহন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।'

তিনি জানান, যেসব জাহাজ কোনো না কোনোদিক দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেগুলোর বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত থাকবে।

হুতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে, কারণ এই দুই দেশ হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার চতুর্থবারের মত হুতিদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবার সকালে হুতিরা অপর একটি মার্কিন জাহাজে হামলার দাবি করেছে।

মার্কিন হামলায় নিহত হুতি যোদ্ধাদের সম্মানে সামরিক শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন হামলায় নিহত হুতি যোদ্ধাদের সম্মানে সামরিক শেষকৃত্যে অংশ নিচ্ছেন বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর লোহিত সাগরে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা।

শুক্রবারের সাক্ষাৎকারে বুখাইতি জানান, লোহিত সাগরে হামলার জন্য নৌপরিবহন সংস্থাগুলোই দায়ী। তারা 'ভিন্ন পথ' ব্যবহারের নির্দেশনা মানেনি।

তিনি বলেন, 'আনসার আল্লাহ্‌ (হুতি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক নাম) কোনো জাহাজ আটক করতে বা ডুবিয়ে দিতে চায় না'।

'আমাদের লক্ষ্য হল ইহুদী রাষ্ট্রের (ইসরায়েল) জন্য গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করাকে ব্যয়বহুল করে তোলা, যাতে তারা এটা থেকে বিরত হয়', যোগ করেন তিনি।

নভেম্বরে এক ইসরায়েলি ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন জাহাজ গ্যালাক্সি লিডার আটক করে হুতি বাহিনী। এ বিষয়ে বুখাইতি বলেন, 'এটা ছিল এক ধরনের হুশিয়ারি, যাতে বাকিরা আমাদের দাবি মেনে নেয়'।

জাহাজের ক্রুরা এখনো আটক আছেন। তিনি বলেন, 'ক্রুরা ভালো আছে এবং আমরা তাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি'।

Comments