যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টে শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারীর গুলিতে আহত ৩ ফিলিস্তিনি

আহত ফিলিস্তিনিকে সেবা দিচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
আহত ফিলিস্তিনিকে সেবা দিচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বারলিংটন ভারমন্টে তিন ফিলিস্তিনি কলেজ শিক্ষার্থীর ওপর গুলি চালিয়ে তাদের আহত করেছেন এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি।

আজ সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গুলিতে আহত তিন শিক্ষার্থী হলেন হিশাম আওয়ারতানি, কিন্নান আবদেল হামিদ ও তাহসিন আহমেদ। তাদের সবার বয়স ২০।

রোববার বারলিংটন পুলিশ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তিন যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

'তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর', জানায় পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং এর ছুটিতে বারলিংটনে আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন এই তিন শিক্ষার্থী। প্রসপেক্ট স্ট্রিট দিয়ে হাঁটার সময় 'এক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি পিস্তল হাতে তাদের পথ রুখে দাঁড়ান'।

পুলিশ বলেছে, 'কোনো কথা না বলে সেই ব্যক্তি তার পিস্তল থেকে (শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে) চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। আমরা ধারণা করছি সেই ব্যক্তি দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।'

পুলিশ জানিয়েছে, দুই শিক্ষার্থী মার্কিন নাগরিক ও অপরজন যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ বাসিন্দা।

পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, দুই ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি স্কার্ফ কেফিয়্যাহ। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'এই হামলার কারণ জানার জন্য বাড়তি কোন তথ্য তাদের কাছে নেই'।

বারলিংটন পুলিশ জানিয়েছে, গোয়েন্দারা ঘটনাস্থল থেকে ব্যালিসটিক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে, যা কেন্দ্রীয় ডেটাবেসে পাঠানা হবে।

এফবিআই রোববার জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এই গুলির ঘটনাকে একটি ঘৃণাপ্রণোদিত অপরাধ হিসেবে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।

সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভুক্তভোগীদের পরিবারের নিয়োগ দেওয়া অ্যাটর্নি আবেদ আইয়ুব বলেন, 'এটা একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত অপরাধ। সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাদের সামনে এসে তাদেরকে গুলি করেন। এটা চুরি বা ডাকাতির ঘটনা নয়।'

আইয়ুব আরও জানান, তিনি মনে করেন কেফ্যিয়াহ পরার কারণেই দুই শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছেন।

এক যৌথ বিবৃতিতে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এই ঘটনা ঘৃণাপ্রণোদিত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে সে অনুযায়ী তদন্ত করার অনুরোধ জানান।

৭ অক্টোবর গাজায় হামাস হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা আর ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশী নাগরিককে জিম্মি করে।

এই হামলার পর ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকার নিয়ে টানা সাত সপ্তাহ ধরে গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ও প্রতিশোধমূলক স্থল-বিমান হামলা চালাচ্ছে। গত শুক্রবার যুদ্ধ বিরতি শুরুর আগে পর্যন্ত এই হামলায় ১৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের ৪০ শতাংশই শিশু।

এই সংঘাতের জেরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বিদ্বেষমূলক ঘটনা বেড়ে গেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত তিন শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনা ঘটল।

Comments

The Daily Star  | English
Rohingya children

Education at Rohingya camps in disarray

The funding shortfall stems largely from a drastic reduction in humanitarian aid by the US

10h ago