গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে ‘পরিবর্তনের সুর’

ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকার এই মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকার এই মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স

টানা ১৮ দিন ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইসলায়েলকে সমর্থন দিয়ে এলেও গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন কর্মকর্তাদের বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের অবস্থানে কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

আজ বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করার পর গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন, 'মানবিক কারণে যুদ্ধ স্থগিত রাখার বিষয়টিকে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।'

একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকে 'বেসামরিক প্রাণহানি এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন' করার আহ্বানও জানান।

যুদ্ধের শুরু থেকেই গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। গাজার মানুষের কাছে খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা উপকরণের মতো জরুরি পণ্য পৌঁছানোর ওপরও দেশটি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

তবে গতকাল ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলকে গাজায় খাবার, ওষুধ ও পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চালু রাখার আহ্বান জানান।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বেশ কিছু বিবৃতি দেন, যেখানে তিনি ফিলিস্তিনিদের হতাহতের বিষয়টি উল্লেখ করেননি এবং ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স

তবে আল জাজিরার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা হলেও গাজার মানুষের দুর্দশার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।

তবে, এর অর্থ এও নয় যে ইসরায়েল-হামাস বিষয়ে মার্কিন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কারবিও গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুদ্ধ 'স্থগিত রাখা' হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের 'সাময়িকভাবে' নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য এক ধরনের 'কৌশল'।

পরবর্তীতে আরেক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'এটি একটি যুদ্ধ। এখানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তাক্ত যুদ্ধ হচ্ছে, যা কুৎসিত। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। আগামীতেও নিরীহ বেসামরিক নাগরিকরা হতাহত হবে।'

কারবির বিবৃতি থেকেও বোঝা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসলায়েলকে সমর্থন দেওয়ার নীতিতেই অটল আছে। তবে মানবিক দিকে বিবেচনা করে হলেও তারা যুদ্ধ স্থগিত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

3h ago