আজ লাল আপেল খাওয়ার দিন
কথায় বলে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। এটি আমাদের অতি পরিচিত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। আপেলের কথা বললে আমাদের সামনে প্রথমেই লাল আপেলের ছবি ভেসে ওঠে। এমনকি যদি কোনো শিশুকে আপেল আঁকতে বলা হয়, তাহলেও সে অনায়সে একটি লাল আপেলই আঁকবে।
আপেল নিয়ে এতো কথা বলার একটাই কারণ, আজ ১ ডিসেম্বর 'ইট এ রেড অ্যাপল ডে' বা 'একটি লাল আপেল খান দিবস'। তাই একটি লাল আপেল খেয়ে আজকের দিন শুরু করতে পারেন।
যদিও অনেক ঘাটাঘাটি করেও এই দিবসের প্রচলন বা কবে থেকে উদযাপন হচ্ছে সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। তাতে কী, আজ একটি লাল আপেল খেয়ে দিনটি শুরু করুন।
তবে এই দিবসের তথ্য জানা না গেলেও এটা আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা কিন্তু সবার জানা। আর আপেলের পুষ্টিগুণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এমন একটি দিবস থাকাতো খারাপ কিছু নয়। এতে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়বে।
যাইহোক, এই দিবসের ইতিহাস না জানলেও আপেলের ইতিহাস হয়তো অনেকেই জানেন। মধ্য এশিয়ায় প্রথম আপেল গাছের খোঁজ পাওয়া যায়। এশিয়া ও ইউরোপে শত শত বছর ধরে আপেল চাষ হচ্ছে। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে ঔপনিবেশিকদের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকাতে প্রথম আপেল চাষ হয়। ১৬২৫ সালে উত্তর আমেরিকাতে প্রথম আপেল বাগানটি গড়ে তোলেন রেভারেন্ড উইলিয়াম ব্লাক্সটন।
একটি লাল আপেল খান দিবসটি পালন করা উচিত কেননা এতে আপেলের পুষ্টিগুণ নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়বে। কারণ, আমাদের সারা বছরের পুষ্টির সবচেয়ে ভালো ও স্বাস্থ্যকর উত্স আপেল। ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার বেশি থাকে এবং এর অ্যান্টি-এজিং প্রভাব আছে। নিয়মিত আপেল খেলে স্মৃতিশক্তি, ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া কমে। এছাড়া, হার্ট, মস্তিষ্ক, জিআই ট্র্যাক্ট, হাড়, চোখের দীর্ঘস্থায়ী রোগ; এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় আপেল।
দিবসটি উদযাপনের সবচেয়ে ভালো উপায় একটি লাল আপেল খাওয়া। কিন্তু, এখানেই কেন শেষ হবে? লাল আপেল খাওয়ার দিবসটি উদযাপনের আরও কিছু উপায় চেষ্টা করতে পারেন। যেমন- লাল আপেলের জুস পান করা। ইউটিউবের ফুড চ্যানেল থেকে কিছু রেসিপি জেনে নিতে পারেন। আবার চাইলে বাজার থেকে পরিবারের জন্য কিছু আপেল কিনতে পারেন। আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে আছে- হার্ট ভালো রাখে, মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে, ব্রণ কমায় ও ত্বকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে, ওজন কমাতে সহায়তা করে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, হাড় ও দাঁত ভালো রাখে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
Comments