জনশুমারি প্রতিবেদন

চট্টগ্রামের ২ শতাংশ বাসিন্দা এখনো খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জনশুমারি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলায় কাচা পায়খানায় ও খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন জেলার প্রায় দুই শতাংশ বাসিন্দা। কাচা, খোলা বা ঝুলন্ত টয়লেট ব্যবহার করেন জেলার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাসিন্দা। পুরোপুরি খোলা জায়গায় মলত্যাগ করেন শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ।

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এ চট্টগ্রাম জেলার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জনশুমারি ও গৃহগণনা করেছে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

জনশুমারিতে দেখা গেছে, চট্টগ্রামে মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। তাদের মধ্যে নারী ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ ও পুরুষ ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩।

শহরের জনসংখ্যা ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ এবং গ্রাম এলাকার জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ২৪৯। 

রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী, আগের জনশুমারির তুলনায় চট্টগ্রাম জেলায় জনসংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার।

চট্টগ্রামে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি হলেও, স্বাক্ষরতায় এগিয়ে পুরুষ। পুরুষের সাক্ষরতার হার ৮২ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং নারী ৭৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।

টয়লেট সুবিধার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করে টয়লেট সুবিধা ব্যবহার করছেন ৩৫ শতাংশ। পানি ঢেলে অনিরাপদ নিষ্কাশন করে ব্যবহার করছেন ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ বাসিন্দা। স্লাব ছাড়া পিট ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন ২ দশমিক ৪১ শতাংশ ও স্লাবসহ পিট ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে নিরাপদ পানির বিষয়ে বলা হয়েছে, পুকুর বা নদী বা লেক থেকে পানির চাহিদা মেটান শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। ওয়াসার পানি পান করেন ২৯ দশমিক ৬১ শতাংশ বাসিন্দা। 

কূপ থেকে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ এবং বোতলজাত পানি ব্যবহার করেন শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ বাসিন্দা। অন্যান্য উৎস থেকে পানি পান করেন দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বাসিন্দা।

এছাড়া কৃষিতে গতবারের চেয়ে কাজের ক্ষেত্র কমেছে। কৃষিকাজ করছেন জেলার ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ মানুষ। শিল্পতে কাজের পরিধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ লোক। সেবা ক্ষেত্রে কাজ করেন জেলার ৫৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বাসিন্দা। 
অন্যদিকে, জেলার ৪২ দশমিক ৮৯ শতাংশ মানুষ রান্নার জন্য কাঠ ও লাকড়ির ওপর নির্ভর করেন।

প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, 'পরিসংখ্যান ব্যুরো যে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তা চট্টগ্রামের জেলার বিভিন্ন উন্নয়নে কাজে লাগবে। বিশেষ করে স্যানিটেশন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।'

'রিমোট এলাকায় এখনো সকল সুবিধা যায়নি। খোলা জায়গায় মলত্যাগ কীভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে কাজর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করছি,' বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago