চট্টগ্রাম

পরীর পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

উচ্ছেদ
চট্টগ্রামের ‘পরীর পাহাড়ে’ আদালত ভবনের সামনের ১৭টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কোতোয়ালিতে 'পরীর পাহাড়' অর্থাৎ আদালত ভবনের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ১৭টি স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চলে।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম পরিচালনা করেন। 

প্রায় ১৩০ বছর আগে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কেন্দ্রস্থলে পরীর পাহাড়ে আদালত ভবনের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে সেখানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, নতুন আদালত ভবন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন ও আইনজীবীদের পাঁচটি ভবনসহ ৩০টি সরকারি কার্যালয় আছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালত ও অফিসগুলোতে প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও, বিচারক ও ৬ হাজার আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা দৈনন্দিন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার লোক এখানে সরকারি সেবা নিতে ও বিচারের প্রত্যাশায় আসেন।'

তিনি জানান, এত বিপুল পরিমাণ লোকজনের যাতায়াতের জন্য ছোট্ট একটি রাস্তা আছে। অবৈধ স্থাপনার কারণে রাস্তায় প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, 'মূল ফটকের পাশে সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছিল। অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও, তারা পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিট করে। গত ২৭ নভেম্বর রিটের নিষ্পত্তি হয় এবং আজ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।'

পরীর পাহাড়ের শীর্ষে আদালত ভবন, এর একপাশে আইনজীবীদের পাঁচটি ভবন। সেখানে ওঠার পথের দুই পাশে খাবার হোটেল, স্টেশনারি দোকান, ফটোকপির দোকান, কাঁচাবাজার, শুঁটকির বাজার, এমনকি কাপড়চোপড়ও বিক্রি হয় কিছু দোকানে। কর্মদিবসে শত শত গাড়ির জট লেগেই থাকে নিচ থেকে পাহাড়ের ওপর পর্যন্ত।

পাহাড়ে ওঠার ঢালে আইনজীবীদের বর্তমান পাঁচটি ভবনের পাশে আরও দুটি নতুন ভবন করা নিয়ে আইনজীবী সমিতি ও জেলা প্রশাসন দ্বন্দ্বে জড়ায় ২০২১ সালে। 

পাহাড়ের চূড়ায় পুরাতন আদালত ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৮৯৩-৯৪ সালে। পুরনো ভবনটি ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হলে ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবিতে চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ আন্দোলন গড়ে তোলে।

Comments

The Daily Star  | English

Sagar-Runi murders: HC grants 6 more months to taskforce to end probe

He said the documents are currently being recovered, which is why additional time is required to complete the investigation

12m ago