খুলনায় বিক্ষোভকারীদের পুলিশের বাধা, সংঘর্ষ
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, অন্তত ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে কয়েকশো শিক্ষার্থীর একটি মিছিল নগরীর নিরালা মোড়, ময়লাপোতা মোড় হয়ে রয়েল মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ময়লা পোতা মোড়ে পুলিশের বাধার মুখ পড়ে। সেখান থেকে পুলিশকে উপেক্ষা করে সাতরাস্তা মোড়ে বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন) ভবনের সামনে এলে আবার পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
এরপর শিক্ষার্থীরা বিএমএ'র সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টা দেওয়া শুরু হয়। একসময় পুলিশি বাধায় শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে উঠে যান এবং সাত রাস্তার বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন।
এর আগে, পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টার দিকে নগরীর রয়েল মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অতিরিক্ত কড়াকড়ির ফলে শিক্ষার্থীরা রয়েল মোড়ের আশেপাশে ভিড়তে পারেননি। শিক্ষার্থী মনে হলেই পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেখান থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমেস্ট্রি'২০ ব্যাচের তানজীম তালহাসহ অন্তত ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি ঘিরে খুলনার রয়েল মোড়, ময়লাপোতা মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, 'এই মুহূর্তে ঝামেলায় আছি পরে কথা বলব।'
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, 'যতদিন শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছেন ততদিন তাদের কিছু বলা হয়নি। কিন্তু আজ তারা লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও রাস্তা অবরোধ করে মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে নিষিদ্ধ জামাত-শিবিরের লোকজন বেশি ছিল বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments