এনসিপির ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ কোন পথে

'নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের' প্রতিশ্রুতি নিয়ে জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে রাজনৈতিক দল 'জাতীয় নাগরিক পার্টি' (এনসিপি)। দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আপামর জনগণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বেই যেহেতু স্বৈরশাসনামলের পতন হয়, তাই নতুন বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য হয়ে দাঁড়ায় 'বৈষম্যহীন বাংলাদেশ'।
সেই কারণেই এমন জনআকাঙ্ক্ষার সামনে এনসিপির আত্মপ্রকাশের গুরুত্ব ছিল ভিন্ন। সেদিন তাই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেদিন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, বাংলাদেশকে আর কখনো বিভাজিত করা যাবে না। এনসিপি হবে গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল।
সেই বার্তা 'রাজনীতিবিমুখ' শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের মানুষের মনেও এক নতুন আশার জন্ম দেয়। এরপর পেরিয়ে গেছে তিন মাস।
এই সময়ে তারা জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন করতে কাজ করছে। কিছু নেতা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে জনসমাবেশ করেছেন। ইতোমধ্যে তারা যুব ও শ্রমিক উইং খুলেছে। চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ আরও কিছু পেশাভিত্তিক উইং গঠনের কাজ চলমান। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ ও তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে 'এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স' গঠনের কাজও চলমান। জেলায় জেলায় চলছে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতেও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে।
কিন্তু এই তিন মাসে 'নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের' দেখা কি মিলেছে?
ইতোমধ্যে এনসিপির কয়েকজন নেতার ব্যয়বহুল জীবনযাপনের অভিযোগ বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কিছু ক্ষেত্রে তারা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। সেই ব্যাখ্যা কতটা গ্রহণযোগ্য, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। অন্যদিকে প্রচলিত রাজনৈতিক ধারার বাইরে গিয়ে তারা ঠিক কী করেছেন, তার কোনো নির্দশনও এখন পর্যন্ত মেলেনি।
গেল রমজানে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল এনসিপি। একটি নতুন রাজনৈতিক দল এই বিলাসবহুল ইফতার আয়োজনের টাকা কোথায় পেল, তা নিয়ে সেই সময় প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এর কোনো সদুত্তর এনসিপি থেকে পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে দলটির বাংলামোটরের কার্যালয়ের ব্যয়ভার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যার কোনো উত্তর এনসিপি দেয়নি।
সমালোচনা আছে এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলামের কার্যক্রম নিয়েও। প্রেস কনফারেন্স আর ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছাড়া সাধারণ জনমানুষের সঙ্গে সরাসরি তার সংযোগ কতটা হচ্ছে? একটি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে যখন দেশের আপামর জনতার সঙ্গে তার জনসংযোগ করার কথা ছিল, সেই সময় তাকে দেখা যায় রাজধানীর বাংলামোটরের কার্যালয়ে সভা করতে, নয়তো ফেসবুক পোস্টে।
আরেকদিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে পঞ্চগড়ে নিজ এলাকায় শোডাউন করে সমালোচনার মুখে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একই দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন। পরে সারজিস পাল্টা পোস্টে সেসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, যেখানে এ কথাও বলেছিলেন যে, তারা যে নতুন বন্দোবস্তের কল্পনা করেন, সেটা ছয় মাসের মধ্যে প্রয়োগ করলে নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই জামানত হারানোর আশঙ্কা থাকবে।
সারজিসের সেই ব্যাখ্যা কতটা যৌক্তিক বা গ্রহণযোগ্য—তা নিয়ে মত-দ্বিমত আছে। আবার একই দলের দুই নেতা সামনাসামনি কিংবা দলীয় ফোরামে বিষয়টি আলোচনা না করে পরস্পর এভাবে ফেসবুকে কেন পোস্ট দিয়েছিলেন, তা নিয়েও জনমনে দ্বিধা তৈরি হয়েছিল। অনেকে আবার এও মনে করেন, এই যে একই দলের একজন আরেকজনকে নিয়ে জনসম্মুখেই এভাবে প্রশ্ন তুলছেন, বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক, যা অতীতের রাজনীতিতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতার করা মন্তব্য ঘিরেও সারজিস বিদ্রূপ করে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। তা ছাড়া আগেও ফেসবুকে এনসিপি নেতাদের পোস্ট-পাল্টা পোস্ট দেখা গেছে। অতীতেও রাজনীতিতে একজনের বক্তব্য ঘিরে অন্যজনের বিদ্রূপমূলক বক্তব্য কিংবা বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে এনসিপির এই চর্চা কি প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক চর্চা নয়? এনসিপির কি সেই প্রচলিত ধারার চর্চা করার কথা? কারো বক্তব্যে দ্বিমত থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে বিদ্রূপমূলক পোস্ট না দিয়েও নিজের অবস্থান বা দ্বিমত প্রকাশ করা যায়।
সম্প্রতি পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার জেরে থানায় নিয়ে যাওয়া তিনজনকে ছাড়িয়ে নেন এনসিপি সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। এ নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয় এবং পরে এনসিপি তাকে শোকজ করে। বিষয়টি নিয়ে হান্নান ভুল স্বীকার করলে এনসিপি শোকজ প্রত্যাহার করে। এর আগে হান্নানের মোংলা বন্দর কমিটি করা এবং বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গাড়ির ব্যাপারে তিনি জানিয়েছিলেন, জামায়াতপন্থি এক ব্যবসায়ী তাকে সেই গাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়েছেন।
সাবেক এনসিপি নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যসহ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে এনসিপি থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এই ঘটনাও এনসিপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
নতুন এই রাজনৈতিক দলটি থেকে ইতোমধ্যে কয়েকজনের পদত্যাগও জনমনে দ্বিধার জন্ম দিয়েছে।
এদিকে এনসিপি শুরু থেকেই নিজেদের মধ্যপন্থার দল হিসেবে উল্লেখ করেছে। কিন্তু এনসিপিতে ভিন্ন ভিন্ন দল বা মতাদর্শ থেকে আসা নেতারা কীভাবে এক ছাতার নিচে পৌঁছাবেন, তার কোনো সুস্পষ্ট ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
যেমন—নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিরোধিতা করে ডাকা একটি সমাবেশে এনসিপির দুই নেতা অংশ নেওয়ায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। এসব ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও পরে তারা একটি বিবৃতি দিয়েছিল। তবে, সেটার মাধ্যমেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাওয়া যায়নি।
তা ছাড়া, সাম্প্রতিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইস্যুতেও তাদের দৃঢ়কণ্ঠে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। অথচ জনপ্রত্যাশা ছিল এসব ক্ষেত্রে তারাই সবার আগে প্রতিরোধের কণ্ঠ তুলবে। কারণ বৈষম্যহীন ও সাম্যের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নের কথাই তারা বলেছেন।
বিভিন্ন ইস্যুতে এনসিপি নেতাদের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানও জনমনে দ্বিধা তৈরি করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, হেফাজতের যে সমাবেশে নারীদের নিয়ে 'বিতর্কিত' মন্তব্য করা হলো, তা নিয়ে হেফাজতকে আইনি নোটিশ প্রদানকারী ছয় নারীর তিনজনই এনসিপির। অথচ ওই সমাবেশে এনসিপির দুই নেতাও উপস্থিত ছিলেন। আবার কিছুদিন আগে হওয়া 'নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা' কর্মসূচি নিয়ে এনসিপির দুয়েকজন ফেসবুকে বিরোধী পোস্ট দিলেও কয়েকজন আবার সেটার পক্ষেও ছিলেন। এসব কারণে দল হিসেবে এনসিপির অবস্থান আসলে কী, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে।
তবে, এমনও হতে পারে যে, দল হিসেবে এনসিপি এক ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে দলীয় মত কারো ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে বিষয়টি ইতিবাচক বটে যে, একই ইস্যুতে একই দলের নেতারা চাইলে নিজেদের মতো করে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিতে পারেন। চাইলে কোনো বিষয়ে নিজদলের মতের বাইরে গিয়েও নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা যায়।
এনসিপির গঠনতন্ত্রেও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রকেই অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলম এনসিপির 'অংশ' বলে অনেকে অভিযোগ তুলেছেন। তবে এনসিপির সঙ্গে এই দুইজনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে বারবার দাবি করে আসছেন নাহিদ ইসলাম।
একটি বিষয় পরিষ্কার যে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের সম্পর্ক বহু পুরোনো। জুলাই আন্দোলনেও তারা এক হয়ে কাজ কাজ করেছেন। আন্দোলনে পেছন থেকে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় কাজ করেছেন, সেক্ষেত্রে শুরুতেই আসে মাহফুজ আলমের নাম। ধারণা করা হয়, এনসিপি গঠন কিংবা এই দলের কার্যক্রমে বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গায় মাহফুজ আলমের অংশগ্রহণ আছে।
এনসিপির ভাষ্য, আসিফ ও মাহফুজ রাজনীতি বা নির্বাচন করতে চাইলে সরকারে থেকে তা পারবেন না। তখন তারা সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু এটাও বলা যায় যে, সরকার থেকে বের হয়ে নিশ্চয়ই তারা দুজন বিএনপি বা অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না, এনসিপিতেই দেবেন। নির্বাচন করলে এনসিপির হয়েই করবেন। সুতরাং এনসিপি জনসম্মুখে এই দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে যতই দূরের বলুক না কেন, বাস্তব সমীকরণটা কেমন, সেই ধারণা মানুষের মনে আছে।
একটা বিষয় এনসিপিকে বুঝতে হবে—রাজনৈতিক দল হিসেবে কিন্তু দল-মত নির্বিশেষে মানুষ তাদের সমর্থন করছে না বা করবেও না। হ্যাঁ, জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছিল এনসিপি নেতাদের নেতৃত্বে। কিন্তু তখন এনসিপি ছিল না। ওই আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যানারে হয়নি বলেই দল-মত নির্বিশেষে মানুষ সেখানে হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে এই ছাত্রনেতাদের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তেমনি ছাত্রলীগ ছাড়া অপরাপর সব ছাত্র সংগঠন যেমন: ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের ভূমিকাও ছিল। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বিগত স্বৈরশাসনের দমন-পীড়নের কারণে জনমনে পুঞ্জিভূত ক্ষোভও। সুতরাং রাজনৈতিক দল এনসিপিকে সর্বস্তরের মানুষই সমর্থন করবে—বিষয়টি এমন নয়।
অতএব এনসিপির এটা ধরে নেওয়ার কারণ নেই যে, জুলাইয়ের মতো এখনো সব মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেবে। এর প্রমাণ মিলেছে কদিন আগে নির্বাচন কমিশনের সামনে তাদের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশেও। তাই পরবর্তীতে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে তাদেরকেও মানুষের মন জয় করতে হবে। কেবল জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই সামনের দিনগুলোতেও মানুষ তাদের পেছনেই হাঁটবে—এটা সঠিব ভাবনা নয়।
সর্বোপরি 'নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের' কথা বলে এনসিপি যে প্রত্যাশা তৈরি করেছে, সেটা কেবল কথায় নয়, কাজেও প্রমাণ করতে হবে, যা এখনো পর্যন্ত অনুপস্থিত বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
তবে, এখনো এনসিপির হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে মানুষের কাছে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে কেবল রাজধানী ঢাকা দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, ভোটযুদ্ধের ক্ষেত্রে লড়াইটা পুরো বাংলাদেশজুড়ে। নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ না জানা গেলেও আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে নির্বাচন হবে, তা পরিষ্কার। এই টাইম ফ্রেমটাকে ধরে নিয়ে তাদের যে পরিমাণ সক্রিয় থাকা উচিত ছিল, এর ধারেকাছেও তারা আছে বলে মনে হয় না।
বাংলামোটরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে সভা কিংবা শাহবাগে কিছু সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ভাবতে হবে পুরো দেশ নিয়ে। দল গোছাতে পৌঁছাতে হবে দেশের আনাচে-কানাচে। প্রয়োজনে যেতে হবে সবচেয়ে দুর্গম অঞ্চলেও। অন্যথায় জাতীয় রাজনীতি করাটা দুরুহই থেকে যাবে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতিতে নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, 'এখনই সময়—নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার'। বাংলাদেশের মানুষও এখন এই কথায় বিশ্বাস করে মনের মাঝে স্বপ্ন বুনছে। কিন্তু সেই নতুন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে হলে পুরোনো ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে সত্যিকারের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মনোনিবেশ করতে হবে কাজের মাধ্যমে, কেবল কথার ফুলঝুরি ফুটিয়ে নয়।
Comments