আন্দোলন ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করলেন ইশরাক

কাকরাইলে সমাবেশে কথা বলছেন ইশরাক হোসেন। ছবি: ভিডিও

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে চলমান আন্দোলন আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কাকরাইল মসজিদের সামনে সমর্থকদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে ইশরাক হোসেন নিজেই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, 'আজকের হাইকোর্টের আদেশের পর আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত আমরা আন্দোলন স্থগিত রাখব। সরকারকে আগামী ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে যে তারা কী করে।'

তিনি আরও বলেন, 'তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী নির্দেশনা আসবে।'

'একটা জিনিস স্পষ্ট বলতে চাই যে, রায়ের বিষয় শপথের বিষয় আলাদা। আর প্রথম যে দাবি করেছিলাম ছাত্র প্রতিনিধিসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের পদত্যাগ করতে হবে, সেটা কিন্তু পরিবর্তন হবে না,' বলেন তিনি।

গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ডিএসসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করেন এবং ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন।

নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।

ডিএসসিসি এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ ১৪ মে হাইকোর্টে রিট করে ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন।

হাইকোর্টে এ রিট করার পর ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা নগর ভবন অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন এবং তাকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রিট খারিজ করে দেন। এতে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোতে আর বাধা রইল না।

ইশরাক হোসেন বলেন, 'হাইকোর্টে একটি রিট করে আমাকে মেয়র পদের শপথ গ্রহণ করানো থেকে বাধাগ্রস্ত করানোর অপচেষ্টা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সবশেষে আইনের শাসনের বিজয় হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।'

'আমরা আশা রাখব যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আর একদিনও কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে তাদের আগামী দিনের এজেন্ডা জনগণের কাছে ফুটিয়ে তুলে ধরবে,' বলেন তিনি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'সরকার যদি আবার টালবাহানা করে তাহলে কাল সকালেই আবার আমরা এখানে এসে আন্দোলন করব।'

তিনি আরও বলেন, 'আপনারা জানেন আমাদের এই কর্মসূচির কারণে চরম জনভোগ সৃষ্টি হয় এবং জনগণ দুর্ভোগে পড়ে। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাফিকে তারা আটকে থাকে। এর জন্য আমরা ঢাকার সাধারণ জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Jamuna Bridge tailback returns as Eid holidaymakers heading back

The traffic jam, which began around midnight, continued to spread and covered at least 20 kilometres on both sides of the bridge by this morning

2h ago