দেশে দাবি-দাওয়ার নামে ষড়যন্ত্র চলছে: তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, স্বৈরাচার পালালেও তার দোসররা রয়ে গেছে, এ জন্য দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ক্ষমতায় ছিল। সে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দেশের মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে আমাদের নেতাকর্মীদের কাজ হবে।

আজ শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, 'আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন—এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব।'

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের মূলে থাকা ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও কিছু অবশিষ্ট রয়ে গেছে। তারা বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আবার দেশকে দখলের চেষ্টা করছেন তারা। তাদের এই লক্ষ্য হাসিল করতে দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। তারা নানান দাবি-দাওয়ার নামে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

আমাদের মধ্যে মতপার্থ্যক্য থাকতেই পারে। আলোচনা মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করা হবে। বড় দল হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দায়িত্ব অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় একমাত্র বিএনপিই মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে গড়তে পারে। জনগণের জন্য বিএনপি কী করবে, ৩১ দফায় তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কখনো আমরা দেখেছি ডামি নির্বাচন, কখনো দেখেছি ভোটারবিহীন নির্বাচন। সে কারণেই আমরা দেখেছি উন্নয়নের নাম করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে।'

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, 'নির্বাচন অথবা বিচার ব্যবস্থা, প্রত্যেকটি ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামোর এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে, দেশ তত দ্রুত আমরা উন্নত করতে পারবো। বিএনপি একমাত্র দেশকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অচল কল কারখানাগুলোকে সচল করতে হবে। আমাদের অসংখ্য নদ-নদী ও খাল ভরাট হয়ে গেছে। এগুলো খনন করতে হবে। আগামী দিনে সংসদের মেয়াদ কত হবে, সংখ্যা কত হবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই বিতর্ক থাকতেই পারে। দিন শেষে আমরা এগুলো জনগনের উপর ছেড়ে দেবো। তবে এর একমাত্র উপায় হলো জাতীয় নির্বাচন।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

The interim government is set to bring the curtain down on the Awami League as a functioning political party.

4h ago