‘সরকার আমলাদের মহার্ঘ ভাতা দিতে ও আইএমএফকে খুশি করতে গরিবের গলায় ছুরি ধরেছে’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বলেছে, সরকার আমলাদের মহার্ঘ ভাতা দিতে এবং আইএমএফকে খুশি করতে গরিবের গলায় ছুরি ধরেছে, পেটে লাথি মারছে।

অবিলম্বে এসব থেকে সরকারকে নিবৃত হতে আহবান করেন দলের প্রধান সমন্বয়ক ও সমাবেশের প্রধান বক্তা হাসনাত কাইয়ূম।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় তোপখানা রোডে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। ভ্যাট বৃদ্ধি, গ্যাসের দাম বাড়ানো এবং ট্রাক সেল বন্ধের প্রতিবাদে এ আয়োজন করা হয়।

সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়ে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, 'যে সময় দেশের প্রয়োজন ছিল গণঐক্য নিশ্চিত করে সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া, সে সময় পরিকল্পিতভাবে প্রশাসন ও পুলিশের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন জায়গায় গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর ওপর হামলা করা হচ্ছে। কুড়িগ্রামে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমাবেশে হামলা করেছে জামায়াত-শিবির। মতিঝিলে পাহাড়ি ছাত্র জনতার ওপর আক্রমণ এবং পরে সে ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের আক্রমণ আওয়ামী জুলুম, নিপীড়নের কথা মনে করিয়ে দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকারকে বুঝতে হবে তার বন্ধু কে আর ষড়যন্ত্রকারী কারা। তারা যদি আমলাদের মহার্ঘ ভাতা দিতে কিংবা আইএমএফের শর্ত মানতে গরিবের ওপর জুলুম করে, তাহলে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।'

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া সরকারের জবাবদিহিতা দাবি করে বলেন, 'আগে সরকারের সব উপদেষ্টা, আমলা, এনবিআরের সব কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব দিন, রাষ্ট্রের আয় ব্যয়ের হিসাব দিন, তারপর আমরা বিবেচনা করব ভ্যাট বাড়ানো হবে নাকি কমানো হবে। এক তরফা ভ্যাট বা গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে তার ফলাফল খুবই খারাপ হবে।'

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিন, রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মিন্টু মিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আহমেদ ইসহাক। রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রোকন ওসমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য আদিল আমজাদ হোসেন।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর পল্টন হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

7h ago