সোনারগাঁয়ে ব্যবসায় আধিপত্য নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক মারা গেছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগা গ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন ও আওয়ামী লীগ সমর্থক জসিম উদ্দিনের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোহসীন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষে নিহত পারভেজ হোসেন যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জাকির ও জসিম দুজনেই বালু উত্তোলন ও ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ব্যবসার সুবিধার্থে তারা ওই এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
আগেও দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বিকেলে স্থানীয় একটি রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, টেঁটা ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত পারভেজকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যান্য আহতদের মধ্যে রুহুল আমিন (৩৮), মো. রিটন (৩৪), হৃদয় (২৮) ও আক্তার হোসেন (৪৩) যুবলীগ নেতা জাকিরের সমর্থক। অপরদিকে, দেলোয়ার হোসেন, (৪০) জামান (২৭), কামাল (৩৫) ও মহসিন (৪২) জসিমের সমর্থক।
তাদের মধ্যে জাকির হোসেনের ছোটভাই রুহুল আমিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা জাকির হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জসিম ও তার লোকজন কোনো উসকানি ছাড়াই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার এক সমর্থক নিহত হয়েছে এবং আমার ছোটভাই হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে।'
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, '২০১৮ সালে তারা আমার ভাগ্নেকে হত্যা করে।'
মন্তব্য জানতে জসিম উদ্দিনকে কল করা হলে, ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানায়, গত এক দশকে অবৈধ বালু উত্তোলন, নির্মাণ ব্যবসা এবং স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কান্দারগাঁও গ্রামে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
আজ সংঘর্ষে নিহতের খবর ছড়ানোর পর কান্দারগাঁও গ্রামে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোহসীন মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments