প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত হয়েছি: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে আশাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ১০০ দিন উপলক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। অনেকেই আশান্বিত হয়েছেন। আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন।'

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আমি কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। এর কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক না যাক সেটা বিষয় নয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাধা সৃষ্টি করিনি। বরং আপনাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সমর্থন দিচ্ছি।'

তিনি বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে কখনই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'ছাত্ররা অনেক কথা বলছে, এই কথা বলার অধিকার তাদের আছে। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। আমরা হিসাবি। হিসাব করি কোন কাজটি করা যাবে, কোনটি করা যাবে না। কোনটা এখন করা ঠিক হবে, কোনটা এখন করা ঠিক হবে না।'

'সেই কারণে আমরা বলছি, দ্রুত নির্বাচন হওয়াটাই এ দেশের জন্য, জাতির জন্য মঙ্গল। এ কথা বলছি আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এই ধরনের সরকার যত দিন বেশি থাকে, ততই সমস্যা তৈরি হবে। এর কারণ হলো এর তো ম্যান্ডেট নাই। এ তো নির্বাচিত সরকার নয়, এই সরকারের পেছনে শক্তিটা কোথায়?'

ফখরুল বলেন, তার দল বিএনপি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার চান।

'এটি এত বেশি সময় নেওয়া উচিত নয় যে মানুষ সন্দেহ করতে শুরু করে যে আপনি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করছেন। অতীতে আমাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে, বলেন তিনি।

'ফখরুল, মঈনুদ্দিনের সরকার ক্ষমতায় থেকে কিংস পার্টি গঠন করার চেষ্টা করেছিল। ক্ষমতায় থেকে দল করবে, কিন্তু মানুষ এটি মেনে নেয়নি। তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে,' বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

5h ago