কুষ্টিয়া

আ. লীগকে দেখলে রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন, বললেন সাবেক যুবদল নেতা

শনিবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুরের নিমতলা বাজারে যুবদলের অফিস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতাদের রাস্তায় দেখামাত্র পেটানোর নির্দেশ দিয়ে আলোচনায় এসেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিমতলা বাজারে যুবদলের একটি অফিস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ওই বক্তব্য দেন তিনি। তার বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

রফিকুল বলেন, 'যদি কখনো কোনো আওয়ামী লীগকে দেখেন, রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন।' আওয়ামী লীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তিনি বলেন, 'ওরা আমাদের রাস্তায় বের হতে দেয়নি। আমাদের বাজারে যেতে দেয়নি, এমনকি বাজার পর্যন্ত করতে দেয়নি। এতো জঘন্য তারা। ওরা সবচেয়ে জঘন্য রাজনীতি করে।'

শেখ হাসিনা সরকারের সময় নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে ওই যুবদল নেতা বলন, 'বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের তিনজন একসঙ্গে বসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ওপরে নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেক কষ্ট করেছি। তাই আপনাদের অনুরোধ করব, দলের ভেতরে কোনো গ্রুপিং করবেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করবেন।'

বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল বলেন, ওইটা রাজনৈতিক বক্তব্য। ৫ আগস্টের পর আমরাই আওয়ামী নেতাদের বাড়িঘর পাহারা দিয়েছি। তার দাবি, কোনো অন্যায় না করেও শুধুমাত্র মিরপুর বিএনপির নেতা রব্বানের ভাগনে হওয়ায় কারণে ১৬ বছর ধরে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই কষ্টের আবেগে কথাটা বলেছেন তিনি। এ জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন ওই নেতা।

ভাগনের বক্তব্যের ব্যাপারে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এটা আমাদের দলের আদর্শ না। আমরাও যদি আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাসী আচরণ করি, সেটা তো জনগণ আশা করে না। এ জন্য হাজারো মানুষ জীবন দিয়ে গণঅভ্যুত্থান করেননি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের কড়া নির্দেশ সন্ত্রাস করা যাবে না। এই বক্তব্যের দায় দল নেবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago