দেশি-বিদেশি চক্র সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে: মির্জা ফখরুল

দেশি-বিদেশি চক্র সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক কাহিনী প্রচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'দেশি-বিদেশি চক্র যারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়, বাংলাদেশের এই বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে চায়, ছাত্র-জনতার ত্যাগ ধূলিসাৎ করতে চায়, তাদের একটি চক্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি অলীক কাহিনী প্রচার করে চলেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম যে গোলযোগ হয়েছে, সেটা রাজনৈতিক গোলযোগ। ৫ আগস্ট। কোনো রকম ধর্মীয় না, কোনো রকম সাম্প্রদায়িক না।'

তিনি বলেন, '৫ আগস্টের পরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার জন্য এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে সে কথা বলা যাবে। একটি চক্র এবং পতিত সরকারের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে প্রচার করছে।

'কয়েকদিন আগে বালিয়াডাঙ্গিতে মানুষ চলে যাচ্ছে বলে প্রায় ৩০০-৪০০ জনকে জড়ো করেছে। আমি খুব ভালো করে খোঁজ নিয়েছি প্রশাসন-গোয়েন্দাদের কাছ থেকে। তারা বলেছেন, এটা সাজানো নাটক। কারণ ওই লোকগুলো সব খালি হাতে ছিল। তাদের স্ত্রী, পুত্র-কন্যা কেউ নেই, ব্যাগও সঙ্গে নেই। তারা বলছে আমরা চলে যাচ্ছি; একটা নাটক করে ওই পারে ধারণা দেওয়া, আমরা এখানে নির্যাতিত হচ্ছি। সুতরাং আমরা এই দেশে থাকব না। এই যে ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণভাবে সাজানো নাটক,' বলেন তিনি।

দুএকটা জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আপনারা দেখেছেন, আমাদের দল এই ঘটনাগুলো প্রতিরোধ করার জন্য সব জেলায় ছুটে বেড়িয়েছে। এখনো তারা সেই কাজ করছে। আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে, যদি প্রমাণ করা যায় এখানে আমাদের দলের কোনো লোক জড়িত আছে—আমি ডিসি-এসপি সাহেবকে বলেছি, আপনারা সব ব্যবস্থা নেবেন। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা নিশ্চিত করছি, আমরা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করব।'

Comments

The Daily Star  | English
US wants Bangladesh trade plan,

Bangladesh to push for tariff cuts in USTR talks in Washington today

Bangladesh has been engaged in negotiations to sign a tariff agreement with the US

31m ago