ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, বন্ধ হয়ে গেছে: পলক
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার আগে প্রায় এক লাখ অতিরিক্ত সিম ব্যবহারকারী ঢাকায় প্রবেশ করেছিল বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি আরও জানান, আগামীকাল-পরশুর মধ্যে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, '২০১১-১২ এবং ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-ছাত্রদল, শিবির যারা সন্ত্রাস করেছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, রংপুরের মিঠাপুকুর, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরায়, সেসব জেলার অন্তত ২০টি স্পট—যেখানে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল, সেসব জায়গায় গত ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই কোনো সহিংসতা হয়নি। সেসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার থেকে এক লাখ সিম কার্ড শিফট করে ঢাকার ১০-১৫টি জায়গায় আবির্ভূত হয়।
'এগুলোর তথ্য-উপাত্ত ও সূত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, সেসব এলাকায় অনেক বিএনপি-ছাত্রদল, জামায়াত-শিবিরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা এই কয়েক দিন ঢাকামুখী ছিল,' যোগ করেন তিনি।
পলক আরও বলেন, 'সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ-যৌক্তিক আন্দোলন যখন সফল হয়ে গেছে, সরকার মেনে নিয়েছে, সেই সময় ১৮ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই হামলাগুলো করা হয়েছে। আমরা খেয়াল করলাম, বিটিভিতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুঁজেছে। তারা হয়তো চিন্তা করেছিল, সেখান থেকে কোনো ঘোষণা বা কোনো কিছু করতে চায়।'
তিনি বলেন, 'ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের নিচতলার পুরোটা পুড়িয়ে দিয়েছে। তার পার্শ্ববর্তী আরেকটি ডেটা সেন্টার আংশিক পুড়িয়ে দিয়েছে এবং তিনটি ডেটা সেন্টারের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের রিডানডেন্সিসহ পুড়িয়ে দিয়েছে। ফলে আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার সেখানে ডাউন হয়ে গেছে। আমরা বিকেল ৩টা থেকে ধাপে ধাপে এই পরিস্থিতির কারণে রাত ৯টায় ইন্টারনেট বন্ধ করিনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।
'আমরা আগামীকাল সকাল ৯টায় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছি। সেই বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে আগামীকাল-পরশুর মধ্যেই ফোরজি নেটওয়ার্ক আমরা উন্মুক্ত করে দেবো,' বলেন পলক।
Comments