ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ থাকলে খবর ছিল: মোমেন

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ থাকলে খবর ছিল: মোমেন
ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় না, উপদেশ দেওয়ার সময় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি) সভাটির আয়োজন করে।

মোমেন বলেন, 'আমরা এশিয়া মহাদেশে কোনো ছায়াযুদ্ধ চাই না। কারণ ছায়াযুদ্ধ হলে উন্নয়নশীল দেশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেই, আর যেখানে যুদ্ধটা হবে সেটাও ধ্বংস হবে, আশে পাশের যারা উন্নত দেশ; আমাদের আশে পাশে উন্নত দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, উন্নয়নশীল হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া—তাদেরও কিন্তু অর্থনীতিটা খারাপ হবে।'

তিনি বলেন, 'সুতরাং বাংলাদেশের সেই দর্শন—আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। এই অঞ্চলে আমরা কোনো ছায়াযুদ্ধ চাই না। এর ওপরও আমাদের গবেষণা দরকার।'

বাংলাদেশ ও ভারতের ভালো সম্পর্কের ফলে উভয় দেশের কী অর্জন হয়েছে সে ব্যাপারে গবেষণার আহ্বান জানিয়ে মোমেন বলেন, 'অনেকে বলবেন, আমাদের কিচ্ছু (অর্জন) নেই। আমাদের দেশ থেকে কয়েক লাখ লোক ভারতে সহজে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। সহজে যাচ্ছে বাজার-টাজার করার জন্য; এটাই তো বড় অর্জন! যদি সম্পর্ক খারাপ থাকতো, তাহলে কিন্তু খবর ছিল।'

বাংলাদেশ যোগাযোগ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে মোমেন বলেন, 'এই যোগাযোগের ফলে আমাদের অর্জন অনেক। আমি প্রায়ই শুনি কোনো কোনো লোক বলেন যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক হয়েছে, সোনালি অধ্যায় হয়েছে, আমাদের অর্জন কী? আমি মনে করি, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এই মর্মে কাজ করতে পারে। আমাদের এই সুসম্পর্ক হওয়ায় আমরা সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পেরেছি; কঠিন জিনিস! বিভিন্ন দেশে এটা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি, আমরা একটা বুলেট খরচ করিনি। না করে আমরা আমাদের সীমানা নির্ধারণ করেছি, সেটা আওয়ামী লীগের নীতির কারণে। দ্বিতীয়ত, পানি বণ্টনের ভাগাভাগি আমরা করেছি। আমরা আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছি। এগুলো তো বড় অর্জন!

'ভারতেরও অনেক অর্জন। তাদের পূর্ব সীমান্ত নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। তাদের লাখ লাখ কোটি টাকা খরচ করতে হয় না। সুসম্পর্ক থাকার ফলে তাদের দেশের উন্নয়নটা টেকসই হচ্ছে। আমাদের দেশের উন্নয়নকে টেকসই করে রাখতে গেলে আমাদের অবশ্যই বৈশ্বিক সম্পর্ক বন্ধু পরায়ণ হবে। বন্ধু যদি না থাকে, বন্ধু পরায়ণ না হয়, তাহলে আমাদের এই উন্নয়নটা টেকসই হবে কি না সন্দেহ আছে। এই জন্য আমি বলি যে, আমাদের দরকার অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা,' যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'বিশ্বের ভবিষ্যৎ কী ধরনের হওয়া উচিত, আমেরিকার বৈদেশিক নীতি কী ধরনের হওয়া উচিত সেগুলোতে আমরা উপদেশ দেবো। আমাদের এখন উপদেশ নেওয়ার সময় না, উপদেশ দেওয়ার সময়। আমেরিকা যদি তাদের বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করে, যদি দুনিয়ার মানুষের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে, তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। আর তাদের যদি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তাহলে তারা কিন্তু বিশ্বের কুলাঙ্গার হবে। তাদের এটা ভাবার সময় এসেছে। আমরা এটা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই এবং সেই জন্য গবেষণা দরকার।'

Comments

The Daily Star  | English

Inside the 3-year plan to fix banks

Bangladesh has committed to a sweeping overhaul of its troubled financial sector, outlining a detailed three-year roadmap as part of its latest agreement with the International Monetary Fund.

8h ago