‘পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে এমপি রাজ্জাক সর্বোচ্চ প্রভাব খাটিয়েছেন’
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক তার পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সর্বোচ্চ প্রভাব খাটিয়েছেন এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু।
মধুপুর উপজেলা নির্বাচনে মো. ইয়াকুব আলী ৭৩ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। অপর দিকে ছরোয়ার আলম খান পেয়েছেন ৫১ হাজার ৮৭ ভোট।
আজ রোববার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছরোয়ার আলম খান আবু অভিযোগ করে বলেন, 'বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসাররা ব্যাপক জাল ভোট দিতে সহায়তা করেছেন। ২৫-৩০ টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, কোনো কোনো কেন্দ্রে রাতেই সিল মেরে বাক্স ভরে রাখা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে বাক্সগুলো একসাথে করে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে ভোটের বান্ডিল করা হয়। ভোট গননা করার আগেই ভোটের ফলাফল শিট তাদের মনগড়াভাবে লিখে ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। উক্ত ফলাফল শিটে তার এজেন্টেদের সই ছিল না।
লিখিত অভিযোগে আবু খান আরও বলেন, 'অত্যন্ত সুক্ষণ কারচুপি এবং ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জেলা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অতি গোপনীয়তার সাথে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন।
যাবতীয় ত্রুটিবিচ্যুতি এবং অনিয়মের অভিযোগে এই অবৈধ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেন তিনি।
গত সংসদ নির্বাচনে মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
Comments