হাতীবান্ধায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পেটালেন প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা

হামলার শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উভয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে শাহানার সাত জন কর্মী-সমর্থক ও লিয়াকতের তিন জন কর্মী-সমর্থক। তাদেরকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাত ২টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা শহরের মেডিকেল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

লিয়াকত হোসেন বাচ্চু হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লগের সভাপতি ও শাহানা ফেরদৌসী সীমা পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত রাত ২টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা নির্বাচনি প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি মেডিকেল মোড় এলাকায় কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর কর্মী-সমর্থকরা শাহানা সম্পর্কে কটূক্তি করেন। শাহানার কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ করেন। এর পরই লিয়াকতের কর্মী-সমর্থকরা লাঠি দিয়ে শাহানার গাড়ির কাচ ভেঙে দেন। তারা শাহানাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসী সীমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর নির্দেশে তার কর্মী-সমর্থকরা আমার সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। তারা আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে বাধা দিচ্ছেন। লিয়াকত হোসেনের নির্দেশে তার কর্মী-সমর্থকরা আমাকে ও আমার কর্মী-সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করেছেন। আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। আমার প্রতি ভোটারদের সমর্থন দেখে তিনি এমনটা করছেন।'

এসব ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে লিয়াকত হোসেন বাচ্চু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শাহানার কর্মী-সমর্থকরা তার এক কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন। আহত কর্মীকে দেখতে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এসময় শাহানার কর্মী-সমর্থকরা তার ওপর হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ খবর পেয়ে তার কর্মী-সমর্থকরা মেডিকেল মোড় এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, 'শাহানার কর্মী-সমর্থকদের হামলায় আমি এবং আমার তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। শাহানা যদি থানায় মামলা করেন তাহলে আমিও করব। আমি কোনো প্রার্থী সম্পর্কে বিষোদগার করছি না। বরং আমার সম্পর্কে নানা অপপ্রচার চালানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।'

আগামী ৮ মে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ২১৩ জন।

হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

Comments

The Daily Star  | English

Mindless mayhem

The clashes between students of three colleges continued yesterday, leaving over 100 injured in the capital’s Jatrabari.

4h ago