কুড়িগ্রাম

আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: দুই ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতা ঝিনুক মিয়া (বামে) এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ানকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই ছাত্রলীগ নেতা রেজভী কবির চৌধুরী বিন্দু ও ঝিনুক মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

গতকাল সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম কুড়িগ্রাম সদর থানায় চার জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ান কুড়িগ্রাম শহরের ঘোষপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়া তিনি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য।

আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী বিন্দু। তিনি কুড়িগ্রাম শহরের খেজুরেরতল চৌধুরী পাড়া এলাকার বিপুল চৌধুরীর ছেলে। অপরজন কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়া।

পুলিশ জানায়, নিহত আওয়ামী লীগ নেতার প্রাইভেটকারের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। শুক্রবার সন্ধ্যায় খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতাকে পেটান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ভুক্তভোগী নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দেওয়ার পরও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাকে রেহাই দেননি।

কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত রাতে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী রোজিনা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করার পেছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। শুধু প্রাইভেট কারের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগার ঘটনায় এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ অবশ্যই এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবে।'

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর ইসলাম সিপন সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সোয়ানকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ওসি মাসুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অজ্ঞাত আসামিদের নাম ও ঠিকানা জানা গেছে। খুব দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago