বিদেশে আছে, মারা গেছে—তাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে: মমতাজ

সিংগাইরের পূর্বভাকুম এলাকায় নিজের বাড়ির উঠানে কর্মীসভায় বক্তব্য দেন মমতাজ। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জ-২ আসনের পরাজিত নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগম নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর লোকজন অনিয়মে জড়িত ছিলেন। এ কারণে তার পরাজয় হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পূর্বভাকুম এলাকায় নিজের বাড়ির উঠানে কর্মীসভায় এসব কথা বলেন মমতাজ।

তিনি বলেন, 'সিংগাইর উপজেলার বলধরা, বায়রা ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভার ভোটকেন্দ্রগুলোতে অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে। বিদেশে আছে, মারা গেছে—তাদের ভোটও দেওয়া হয়েছে। আমি অন্য জায়গায় পাস করলেও, এসব এলাকায় অস্বাভাবিক ভোট হওয়ায় পরাজিত হয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু কালো টাকা ছড়িয়ে বিএনপি-জামাতের ভোট কিনে এমপি হয়েছেন। নির্বাচনের রাত থেকে তার লোকজন আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা করেছে। প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করছে, ককটেল ফাটাচ্ছে। তাদের হাত থেকে নারীরাও রেহাই পাচ্ছে না। অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। তারা সিংগাইর পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল, তার স্ত্রী ও মেয়ের ওপর হামলা করেছে। চান্দহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মুরগির খামারে আগুন দিয়েছে। জয়মন্টপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসলামকে তারা মারধর করেছে। সে কোনোরকমে জীবন নিয়ে পালিয়েছে।'

নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ সম্পর্কে মমতাজ বলেন, 'সিংগাইরের চান্দহর, জামির্তা, তালেবপুর, জামশা, সিংগাইর পৌরসভা, হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, বয়রা, বলধরা এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমাদের অন্তত ৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা থানার ওসি ও এসপি সাহেবকে জানিয়েছি। ডিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছি। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এর পরও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।'

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে, আঘাত করলে আমাদের জানাবেন। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরাও বসে থাকব না। তবে, আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আপনাদের কারও ওপর হামলা হলে আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মিলিতভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়াব। ভয় পাবেন না।'

কর্মীসভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরাজিত কেটলী প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী, সিংগাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সিংগাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমানসহ হামলার শিকার নেতাকর্মীরা।

মমতাজ বেগমের অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য জানতে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খানকে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার রেহেনা আক্তার বলেন, 'তিনি আমাদের কাছে এই অভিযোগ দেননি। তিনি এখনও লিখত অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে আমরা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt forms committee to probe last 3 polls

Former High Court justice Shamim Hasnain has been made the chairman of the committee

2h ago