অগ্নিসংযোগের প্রতিটি ঘটনার নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে, আ. লীগ যার বেনিফিশিয়ারি: বিএনপি

বিএনপি

চলমান অগ্নিসংযোগের প্রতিটি ঘটনায় একটি সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে, যার একমাত্র বেনিফিশিয়ারি আওয়ামী লীগ বলে মনে করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুটি নির্বাচনের পটভূমিতে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি প্রহসনমূলক ও সহিংস কারচুপির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। 

বিবৃতিতে বলা হয়, 'তথাকথিত এই "ডামি নির্বাচন" সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে নাশকতা চলছে, তাতে শুধু গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই নন, নিপীড়ন-নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া, প্রান্তিক মানুষ। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাঠামোতে, বিশেষত বাস-ট্রেনে পরিকল্পিত হামলার মাধ্যমে, জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা-স্বাধীনতা বিনষ্ট করছে আওয়ামী লীগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশ।'

এতে আরও বলা হয়, 'চলমান অগ্নিসংযোগের প্রতিটি ঘটনায় একটি সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যার একমাত্র বেনেফিশিয়ারি আওয়ামী লীগ ও তার অধীনস্থ রাষ্ট্রযন্ত্র, আর প্রধান ভুক্তভোগী বিএনপি। ক্ষমতাসীন শীর্ষ নেতৃত্ব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো তদন্ত, তথ্য বা সূত্র ছাড়াই প্রতিটি ঘটনার পরপর অগ্নিসন্ত্রাসের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।'

'নিজেদের সুপরিকল্পিত এই ধ্বংসযজ্ঞকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার করে তারা রাষ্ট্রীয় দমন-নিপীড়নকে উস্কে দিচ্ছেন, যা শেখ হাসিনার প্রতিহিংসামূলক বক্তব্যে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এর আগে তার কিছু সহিংস দিকনির্দেশনা দেখেছি, যেখানে বিএনপির সব নেতাকর্মীর হাত পুড়িয়ে ফেলা ও ভেঙে দেওয়া, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবিয়ে আনা,' বলা হয় বিবৃতিতে।

গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় চলন্ত ট্রেনে অগ্নিসংযোগে ৪ যাত্রী মারা যাওয়ার ঘটনার উল্লেখ করে বিএনপি জানায়, 'ওই ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, রাষ্ট্রের একটি চিহ্নিত অংশের যোগসাজশে এ নাশকতা সংঘটিত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের দুইদিন আগে ১৯ ডিসেম্বরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিশেষভাবে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, জরুরি সেবা, ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য ডিএমপি নির্দেশনা দিয়েছিল। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এই নির্দেশনাটি কোনো কাকতালীয় বিষয় নয়। ডিএমপির এই প্রস্তুতিমূলক উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছিল, নাশকতার সুস্পষ্ট তথ্য ও পরিকল্পনা তাদের কাছে কীভাবে এলো এবং তারপরও এটি রোধে কেন তারা কোনো ব্যবস্থা নিলেন না, জনমনে এসব প্রশ্ন আছে।'

'অথচ, আমরা গভীর হতাশার সঙ্গে দেখলাম, ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান দাবি করে বসলেন, বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের নির্দেশে এই হামলা হয়েছে এবং এর জন্য বিএনপিই দায়ী। কোনোরূপ তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই, নিজেদের ব্যর্থতা বা সম্পৃক্ততাকে আড়াল করতে, পুলিশের একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি কীভাবে আওয়ামী লীগের সাজানো বক্তব্যের প্রচারণায় অংশ নেন, তাতে দেশবাসী হতবিহ্বল। তার এই আপত্তিকর বক্তব্য মূলত সজীব ওয়াজেদ জয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম অর্থাৎ আওয়ামী লীগের বক্তব্য একই অভিযোগেরই প্রতিধ্বনি। দুর্ভাগ্যক্রমে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং রাষ্ট্রযন্ত্রের সমর্থনে আওয়ামী লীগের চিরন্তন "ব্লেম গেম পলিটিক্সকে" আবার জনসমক্ষে নিয়ে এসেছে,' বলা হয় বিবৃতিতে।

বানোয়াট অভিযোগের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিএনপি যতবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আওয়ামী লীগ একইদিনে পরিকল্পিত নাশকতার উদ্দেশে কর্মসূচি আহবান করে। আমরা দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বদা একটি অহিংস আন্দোলন বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছি এবং সব উস্কানি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছি। গত ২৮ অক্টোবর আমরা ঢাকায় একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিলাম, যেখানে সারাদেশ থেকে গণতন্ত্রকামী লাখো মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। নানা প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আবারও প্রমাণ করেছিল, বিএনপির পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে এবং একটি সত্যিকারের নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের বিব্রতকর পরাজয় অনিবার্য। আর তাই, আমাদের মহাসমাবেশকে বানচাল ও চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, সেদিন একটি ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে পুলিশের চিহ্নিত অংশ।'

বিএনপির বক্তব্য, 'মুখোশধারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের সহায়তায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ হাসপাতালের সামনে বাস ও গাড়িতে আগুন দেয়। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যাও করে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পুলিশের কেউ তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি, যা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে। এই নৃশংসতার পর, বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলসমূহ, ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জোরদারের প্রস্তুতি নিলে, আওয়ামী লীগ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেশজুড়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের এক নোংরা কৌশল অবলম্বন করে। অগ্নিসংযোগের ঘটনা বন্ধ করতে বা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে যে পুলিশের সহযোগিতায় ও পরিকল্পিতভাবে এই হামলাগুলো চালানো হচ্ছে।'

পরবর্তীতে এসবের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দলের লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রায় ২৫ হাজার গণগ্রেপ্তার ও ২৭ নিরপরাধ মানুষকে হত্যার ঘটনা বিশ্লেষণে আওয়ামী লীগের বৃহৎ ষড়যন্ত্রের আলামত স্পষ্ট বলে দাবি করেছে বিএনপি।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরা তালিকা করে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে। অগ্নিসন্ত্রাসের বানোয়াট অভিযোগে তারা ছাত্রদল ও যুবদলের সদস্যদের টার্গেট করছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে।'

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপি জানায়, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কীভাবে কঠোর আঘাত, বৈদ্যুতিক শক, ওয়াটারবোর্ডিং, পঙ্গু করার জন্য গুলি, হাঁটুতে মারাত্মক প্রহার করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি ও সাক্ষ্য আদায় করা হয়। পুলিশ হেফাজতে অবর্ণনীয় নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বিএনপির সদস্যদের কাছ থেকে জবরদস্তিমূলক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে একটি পরিকল্পিত মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সংঘটিত নাশকতায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার জোরপূর্বক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মিডিয়ায় হাজির হচ্ছেন এবং বিএনপি অগ্নিসংযোগে লিপ্ত থাকার বানোয়াট গল্প ছড়াচ্ছেন।'

'এই অপরাজনীতি আজ দেশে-বিদেশে সবার কাছে স্পষ্ট' উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'বানোয়াট অভিযোগ ও গায়েবি মামলা সাজানো হচ্ছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারে বিএনপির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের যৌথ উদ্যোগ সরকারের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। এটি আজ দৃশ্যমান যে, সরকার একটি সিস্টেম্যাটিক ফর্মুলা অনুসরণ করছে। প্রথমে তারা মিডিয়া কভারেজ দিয়ে নাশকতার ঘটনা তৈরি করে। এরপর বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ওপর দায় চাপিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় দেয় ও আমাদের চলমান আন্দোলনকে বিতর্কিত করার একটি হীন প্রচারণা চালায়।'

'এই পরিকল্পনায় দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং এই নাশকতাগুলোকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনকে স্তিমিত করে দেওয়া। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্বকারী দল বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সম্মিলিতভাবে অগ্নিসংযোগ করছেন, অবিশ্বাস্য এই হীন অপবাদ চাপিয়েই পুলিশ কাল্পনিক মামলা এবং বানোয়াট অভিযোগ নথিভুক্ত করে চলেছে। এমনকি ইতোমধ্যে বিএনপির যেসব সদস্য মারা গেছেন বা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হচ্ছে। কোনো নিরপেক্ষ বা স্বাধীন সাক্ষী ছাড়াই মিথ্যা পুলিশি সাক্ষ্যকে একমাত্র প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বিচার বিভাগের ধারাবাহিক অবিচারের মাধ্যমে, পূর্বপরিকল্পিত এই রায়গুলো আইনের অনুশাসনের সার্বিক অবক্ষয়কে প্রমাণিত করে তুলছে,' যোগ করা হয় এতে।

বিবৃতিতে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার সাম্প্রতিক ঘটনা, অতীতের কিছু ঘটনা এবং নির্বাচনী সহিংসতা ও ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানোর কিছু উদাহরণ দিয়ে বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, '৭ জানুয়ারির আসন্ন সাজানো নির্বাচনের তথাকথিত ফলাফল ইতোমধ্যে পূর্বনির্ধারিত। নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের নেই কোনো বৈধতা বা জনসম্পৃক্ততা। এই প্রহসনের নির্বাচনকে সহিংসতায় রূপ দিয়ে নিজেদের সন্ত্রাসী পরিচয়ের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে চলেছে আওয়ামী লীগ। প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া, নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট না দিলে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় বিভিন্ন ভাতা বন্ধ করে দেওয়া, পক্ষে কাজ না করলে এলাকায় থাকতে না দেওয়া, এ ধরনের নানা হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।'

'সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার অস্বীকৃতি, দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নৃশংসতার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ থেকে আওয়ামী লীগ আজ বিচ্ছিন্ন। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে, কেননা জনগণ অর্থবহ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ চায়। প্রহসনমূলক নির্বাচনের তথাকথিত প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ নেতারা খোলাখুলি স্বীকার করছেন যে, তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত ছিল। আবার একই নাটক মঞ্চস্থ করতে তাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে, এটিই স্বাভাবিক,' বলা হয় বিবৃতিতে।

'বিএনপির রাজনৈতিক শক্তি জনগণের সমর্থন' উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন এই বিশ্বাসের সঙ্গে বিকশিত হয়েছে যে, প্রতিটি জীবন মূল্যবান, এবং আমরা জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির তীব্র নিন্দা জানাই, এবং নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করি। আমরা বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট চলমান যে নৈরাজ্য, ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার এই অপকৌশল বাংলাদেশে সফল হবে না।'

 

Comments