‘সিট ভাগাভাগি করে যদি এমপি নির্ধারণ হয়, তাহলে এই নির্বাচন ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়ে গেছে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেছেন, 'আজকে আওয়ামী লীগ এই দেশের কোটি কোটি মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, এই দেশের গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধংস করে দিয়েছে।'

আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে বিজয় দিবসে আজকে আমরা কোন বিজয় উদযাপন করতে এসেছি- বাংলাদেশের মানুষকে এই প্রশ্ন সরকারের সামনে তুলে ধরতে হবে। এটা কিসের বিজয়? এটা কি একদলীয় শাসনের বিজয়? নাকি একনায়কের শাসনের বিজয়? নাকি এখানে এমন একটি সরকার চলছে, যারা মানুষকে কথা বলতে দেয় না, যারা মানুষকে ভোট দিতে দেয় না, যারা মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই জন্যে কি আজ থেকে ৫২ বছর আগে বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ লক্ষ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করবে, এই কারণে কি করেছিল। তারা করেছিল গণতন্ত্রের জন্য, তারা করেছিল এই দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য।'

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগে যদি দাবি করে, তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি তাহলে আওয়ামী লীগকে জবাবদিহি করতে হবে, কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার কায়েম করেছে।'

বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, 'আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়েছে। তারা একটি নির্বাচনের তফসিল দিয়েছে, কোন নির্বাচন, যেই নির্বাচনে তারা প্রকাশ্যে সকল লজ্জা ভুলে গিয়ে প্রকাশ্যে দর কষাকষি করে সিট ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। সিট ভাগাভাগি করে যদি এমপি নির্ধারিত হয়, তাহলে এই নির্বাচন ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়ে গেছে।'

নির্বাচনী ফলাফল তারা তাদের কাগজে কলমে রাজধানীতে সর্বোচ্চ অফিসে বসে তারা লিখে ফেলেছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, 'আগামী ৭ তারিখে শুধু তারা সেই ফলাফল ঘোষণা করবে। কাজেই এটা কোনো নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ধোকা দেওয়া যাবে না। আজকে আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছি এবং আমরা কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করেছি। আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী, আমরা লগি বৈঠার রাজনীতি করি না, বিএনপি করে না।'

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, 'আজকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় বিএনপি এই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে, সেই জন্য রাজপথে আছি। সরকারের সমস্ত উসকানি বর্জন করুন। মিথ্যা হামলা মামলা ও গায়েবি মামলা দিয়ে তারা গত ছয় সপ্তাহে আমাদের ২৩ হাজার লোককে কারারুদ্ধ করেছে, এইসব ভুয়া মামলা দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করে এই দেশে তারা থাকতে পারবে না। এই দেশের মানুষ তাদের বর্জন করেছে।'

'আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে তারা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে, মহাসচিবকে গায়েবি মামলা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ১/১১ এর ভুয়া মামলা দিয়ে তাকে বিদেশে আটকে রেখেছে । তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না,' যোগ করেন তিনি।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান,  নজরুল ইসলাম খানসহ সিনিয়র নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

12h ago