‘ছেলেকে, মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে, মুক্তিপণ দাবি করে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর সরকার আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক ভাই ও বোনেরা ঘরে ঘুমাতে পারে না। ছেলেকে না পেলে মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে যায় মুক্তিপণ দাবি করে।
আজ রোববার রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, 'আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। মিছিলে মিছিলে বাংলাদেশ ভরে দেবো। তবুও আমরা এই সরকারের নির্বাচন মানব না। বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে আপনারা কেউ (আওয়ামী লীগ) টিকতে পারবেন না।'
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'এ দেশ বাংলাদেশের মানুষের। আপনারা রাজপথে নেমে আসুন, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, তারা লাঠিয়াল বাহিনী, হেলমেট বাহিনী তৈরি করে জনগণের ওপর অত্যাচার করছে। এটা বেশিদিন চলবে না।'
তিনি বলেন, 'গত ২৮ অক্টোবরের পর আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক ভাই ও বোনেরা ঘরে ঘুমাতে পারে না। ছেলেকে না পেলে মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, 'কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ন্যায্য অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। আজ দেশের বিচার বিভাগ চলছে একজনের নির্দেশে। বিশ্বের কোথাও বাংলাদেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন নেই। সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অনেকগুলো কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে।'
'আজ ডান-বাম সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। শিগগির বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাবে,' যোগ করেন সেলিমা রহমান।
সকাল ১১টায় এ মানববন্ধন শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১২টায়। গুম-খুনের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বজনরা ছাড়াও এতে অংশ নেন কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী।।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল প্রমুখ।
Comments