বিএনপির অবরোধ: ঢাকায় দুপুরে যান চলাচল তুলনামূলক কম

নগরজুড়ে যে তীব্র যানজট থাকে তার তুলনায় নগরে যাত্রী ও যানবাহন অনেকটাই সীমিত।
বিএনপির অবরোধে আজ রোববার রাজধানীর কাকলী এলাকা থেকে তোলা ছবি। ছবি: শাহীন মোল্লা

বিএনপির ডাকা সপ্তম দফার অবরোধের প্রথম দিনে সকাল থেকে রাজধানীতে যান চলাচল তুলনামূলক বাড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় যান চলাচল কম দেখা গেছে।

অবরোধের দিনগুলো ছাড়া অন্যান্য দিনে নগরজুড়ে যে তীব্র যানজট থাকে তার তুলনায় নগরে যাত্রী ও যানবাহন অনেকটাই সীমিত।

আজ রোববার রাজধানীর মহাখালী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা গত সপ্তাহের অবরোধের দিনের তুলনায় অনেক কম।

বেলা দেড়টার দিকে কাকলী বাসস্ট্যান্ডে বিকাশ পরিবহণের একটি বাস যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। জানতে চাইলে পরিবহনের সুপারভাইজার সোহেল ভুইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজিমপুর থেকে ভায়া আব্দুল্লাহপুর হয়ে আশুলিয়া বাজার যায় বাসটি। সকাল থেকে যাত্রী কম থাকায় কম ট্রিপ দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাসে ১০-১৫ জন করে যাত্রী। যাত্রী নাই, তাই বাসও কম।

মহাখালী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এই বাসে করে যাওয়ার সময় সড়কে আরও কম সংখ্যক যান চলাচল করতে দেখা যায়।

বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও আশকোনায় এলাকার হকার ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে হয়। তারা জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবারের অবরোধেও এরচেয়ে বেশি গাড়ি চলেছে। তবে আজকে সেই তুলনায় রাস্তায় গাড়ি কম।

এর আগে বেলা ১টার দিকে মহাখালীতে পথচারী ও ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, কর্মব্যস্ত দিনে যেখানে যানজট লেগেই থাকত এমনকি অনেকসময় ধরে গাড়ি এক জায়গাতেই থেমে থাকত সেরকম কিছুই এখন নেই।

তারা বলেন, হরতাল অবরোধ ছাড়া বনানী ও কাকলী এলাকায় অন্যান্য সময় এসময় জ্যাম থাকে। তবে আজকে কম সংখ্যাক গাড়ি চলছে। যদিও রাস্তায় অনেক লোক আছে।

সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট থেকে ঢাকা মেডিকেলে যাওয়ার পথে যানজট দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন ওই রাস্তার এক যাত্রী। তবে দুপুরের পর নিউমার্কেটের দিকে ফেরার পথে তিনি যান চলাচল কমেছে বলে জানান।

এদিকে, মহাখালী থেকে কয়েকটি দূরপাল্লার বাস ছাড়লেও তা সংখ্যায় ছিল কম। যাত্রী কম থাকায় গাড়ি ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পরিবহণের শ্রমিকেরা।

গাবতলী বাস টার্মনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সকাল থেকে যাত্রী সংকটে দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়েছে কম। অন্যদিকে অনেক যাত্রী জানিয়েছেন তারা দূরের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ি পাননি।

Comments

The Daily Star  | English

Gaza still bleeding

Death toll nears 42,000; rallies worldwide calls for ceasefire

1h ago