নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা, মা-বাবা-বোন আহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবদল নেতা ওমর হোসেনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার গোলাকান্দাইল উত্তরপাড়া এলাকায় ওমরের বাড়িতে হামলায় তার বৃদ্ধ বাবা, মা ও বোন আহত হয়েছেন।
ওমর গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।
ওমরের বাবা সেলিম ভূঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দুপুরের খাবার শেষে তিনি, তার স্ত্রী ও মেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এমন সময় ১৫-২০ জন লোক মুখে কাপড় বেঁধে ঘরে ঢুকে পড়েন। তাদের হাতে হকি স্টিক, লাঠি ও লোহার পাইপ ছিল।
'তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে আমার ছেলের নাম ধরে ডাকতে থাকে। ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ঘরের আলমারির তালা ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। আমরা বাধা দিতে গেলে তারা আমার স্ত্রী, মেয়ে ও আমাকে মারধর করে। অন্তত ১৫ মিনিট বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের পর তারা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে চলে যায়।'
স্থানীয় কারো সঙ্গে তার পরিবারের কোনো বিরোধ ছিল না, শুধু তার ছেলে বিএনপির সঙ্গে জড়িত থাকায় এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ৬৫ বছর বয়সী সেলিম।
ওমরের অভিযোগ, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কোরবান আলীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। এই হামলাকারীরাই রোববার সকালে গোলাকান্দাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার বরফ তৈরির কারখানায় গিয়ে দুই শ্রমিককে তুলে নিয়ে মারধর করে। এরপর তারা কারখানা বন্ধ করে দেয়। কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা কোরবান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
তিনি আরও বলেন, রোববার তিনি ওমরের কারখানায় তার ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বরফ কিনতে গিয়েছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ('গ' সার্কেল) আবির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
'আমি যুবদলের নেতা বলে আমার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বারবার হামলা হচ্ছে। এর আগেও গত বছরের ডিসেম্বরে এই হামলাকারীরা দুইবার আমার প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তখন রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। অভিযোগের কারণে উল্টো আমার বাড়িতে হামলা চালায় তারা। এ কারণেই, আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি', বলেন যুবদল নেতা ওমর হোসেন।
Comments