পাবনা-৪ আসন

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান একই পরিবারের ৪ জন

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর পরিবারের দুই ছেলে ও মেয়েসহ চারজন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

দলীয় সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এই আসনে পরপর পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। তার মৃত্যুর পর ২০২০ সালে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি আবার ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ডিলু পরিবার। পরিবারের বড় মেয়ে মাহজেবিন শিরিন পিয়া, দুই ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ, সাকিবুর রহমান শরীফ, জামাতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।

একই পরিবারের চার জনের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে নেতৃত্বের জন্য পারিবারিক কোন্দল হিসেবেও দেখছেন অনেকে।

মনোনয়নপত্র নেওয়া চারজনের দাবি, তারা সবাই জনগণের জন্য রাজনীতি করছেন। তাই মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার সবার আছে।

তাদের মধ্যে মাহজেবিন শিরিন পিয়া পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছি। গত ৪০ বছর ধরে দলের বিভিন্ন পদে থেকে জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। আগে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।'

দলের মনোনয়ন পেলে সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

পরিবারের অন্য সদস্যদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে আগ্রহী হননি। তার দাবি, তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে সবাই তার জন্যই কাজ করবেন।

তার স্বামী ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করছি। জনপ্রতিনিধি (মেয়র) হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। যৌক্তিক কারণে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করি।'

তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্যই তিনি কাজ করবেন বলেও জানান।

স্ত্রী ও দুই শ্যালকের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে মিন্টু বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি ফুলের বাগান, সবারই দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন।'

এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ নেই বলেও দাবি তার।

দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের বিষয়ে সাবেক এমপি ডিলুর দুই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া এলাকায় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ডিলু পরিবারের ভূমিকা আছে। তবে এর আগে নানা কারণে এই পরিবার আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে। এসব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান কথা চালু থাকলেও, এই পরিবারের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে কারো দ্বিমত দেখা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

8h ago